Homeলাইফস্টাইলশুষ্ক-তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে যা করতে পারেন

শুষ্ক-তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে যা করতে পারেন


অনেকের ত্বক শুষ্ক হলেও তেলতেলে ভাব থাকে। এমন ত্বককে বলে শুষ্ক-তৈলাক্ত ত্বক বা ডিহাইড্রেটেড অয়েলি স্কিন। এমন অবস্থায় ত্বক পানিশূন্যতায় ভুগলেও অতিরিক্ত সেবাম বা তেল উৎপাদন করে। এর ফলে একটি পরস্পরবিরোধী পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই অবস্থা হলে ত্বক চিটচিটে, রুক্ষ বা খসখসে হয়। অনেকে মনে করেন, তৈলাক্ত ত্বকে হাইড্রেশন প্রয়োজন হয় না। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাস্তবে এমনও হয় যে পানির অভাবে ত্বক অতিরিক্ত তেল উৎপাদন করে নিজেকে রক্ষা করে।

এই ত্বকের ধরন বুঝবেন যেভাবে

  • ত্বকে হাইড্রেশন না থাকার কারণে, বিশেষত ধোয়ার পর, ত্বকে অস্বস্তি অনুভূত হবে।
  • অতিরিক্ত তেল উৎপাদন মুখে একটি স্পষ্ট শাইন তৈরি করবে, বিশেষ করে টি-জোন অর্থাৎ মাথার সামনে, নাক ও থুতনিতে।
  • তৈলাক্ত হওয়া সত্ত্বেও ডিহাইড্রেটেড ত্বক রুক্ষ, অসমান বা টেক্সচারযুক্ত দেখাবে।
  • সিবামের অতিরিক্ত উৎপাদন পোরগুলোকে বড় এবং আরও দৃশ্যমান করে তুলবে।
  • ডিহাইড্রেটেড অয়েলি স্কিন হলে ত্বক সহজে অমসৃণ ও লালচে ভাব হয়ে থাকে।
  • মেকআপ ভালোভাবে মিশবে না এবং শুষ্ক জায়গায় বসে যাবে।

পরিত্রাণের উপায়

ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন

মুখ ধোয়ার পর হালকা ও হাইড্রেটিং উপাদান, যেমন হায়ালুরোনিক অ্যাসিড দিয়ে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজি প্রকাশিত গবেষণামতে, ত্বকের ধরন তৈলাক্ত হলেও এটি হাইড্রেটেড রাখতে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। তাই এমন একটি ময়শ্চারাইজারও খুঁজে নিতে হবে, যাতে ৩০ বা তার বেশি সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টরযুক্ত ব্রড-স্পেকট্রাম সানস্ক্রিন থাকে।

সঠিক ত্বকচর্চার পণ্য

ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক বাধা মেরামত করতে এবং হাইড্রেশন ধরে রাখতে ত্বকের যত্নে সেরামাইড ও নিয়াসিনামাইডসমৃদ্ধ পণ্য খুঁজতে হবে। ‘ক্লিনিক্যাল, কসমেটিক অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশনাল ডার্মাটোলজি’ জার্নালে ২০১৮ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সেরামাইডের টিপিকল ব্যবহার ত্বকের হাইড্রেশন বাড়াতে সহায়ক। এই উপাদানগুলোর নিয়মিত ব্যবহার ত্বকের হাইড্রেশন ধরে রাখার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং সংবেদনশীলতা ও প্রদাহ কমায়।

তেল নিয়ন্ত্রণ

হাইড্রেশন বজায় রেখে সিবাম নিয়ন্ত্রণ করতে নন-কমেডোজেনিক পণ্য ব্যবহার করতে হবে। স্যালিসিলিক অ্যাসিড কিংবা জিংক পিসিএ-সমৃদ্ধ পণ্য তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালোভাবে কাজ করে। এগুলো তেল উৎপাদন সমন্বয় করতে, উজ্জ্বলতা এবং পোরের উপস্থিতি কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।

পানি পান

যত সঠিক পণ্যের ব্যবহার ত্বক হাইড্রেট করতে সাহায্য করবে, ততটুকু কাজ করে পানি। প্রতিদিন আট গ্লাস পানি পান করতে হবে। যদি সাধারণ পানি পান না করতে চান, তাহলে স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য ডিটক্স পানি গ্রহণ করতে পারেন। এ ছাড়া কফি ও অ্যালকোহল কম পান করতে হবে। কারণ, এগুলো ত্বক ডিহাইড্রেট করতে পারে।

শুষ্ক-তৈলাক্ত ত্বকের কারণ হতে পারে কম পানি পান বা ত্বক চর্চার অনুপযুক্ত পণ্য ব্যবহার। সঠিক পণ্য ব্যবহার এবং পানি পান ত্বকের যেকোনো সমস্যা খুব সহজে সমাধান করে দিতে পারে।

সূত্র: হেলথ শটস





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত