একটি ঘরে সাদা আলোর লাইট, অন্য ঘরে ওয়ার্ম লাইট লাগিয়ে নিন। তারপর পার্থক্যটা নিজেই বুঝতে পারবেন।
ঘর যত সুন্দর করেই সাজানো হোক, সাদা আলো ব্যবহার করায় অনেকটাই এলোমেলো দেখায়। অন্যদিকে ওয়ার্ম লাইট ঘরে অন্য রকম আরামের আবহ তৈরি করে। ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে ওয়ার্ম লাইট বা উষ্ণ আলো এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চোখের আরামের জন্য এবং ঘরের সৌন্দর্যে আলাদা মাত্রা যোগ করতে ওয়ার্ম লাইটের জুড়ি নেই। বাড়িতে বড় পরিসরে ইফতারের দাওয়াত রাখলে খাবারের ঘরে একটা ভিন্ন আমেজ আনতে ব্যবহার করতে পারেন ওয়ার্ম লাইট। তবে কৃত্রিম এই আলো দিয়ে খাবারের ঘর সাজানোর আগে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
লাইট বসানোর আগে লাইটের সুইচ ও তার কোথায় বসানো হবে, তা ভেবে নিন। সেগুলো এমন জায়গায় রাখতে হবে, যাতে সহজে চোখে না পড়ে। লাইটের পাশে তার জড়ো হয়ে থাকলে ঘরের সৌন্দর্য নষ্ট হবে।
লাইটিং কেমন হবে, তা নির্ভর করবে ঘরের আকারের ওপর। ঘরের আকার না বুঝে লাইটিং করলে বেমানান লাগতে পারে। অনেকে ঝাড়বাতি দিয়ে আলোকসজ্জা করেন। কিন্তু ঘর ছোট হলে ঝাড়বাতি কেনার আগে দেখতে হবে, সেটা সিলিং লাগোয়া ছোট আকারের ঝাড়বাতি কি না। আর ঘর বড় হলে যেকোনো ধরনের ঝাড়বাতি বেছে নেওয়া যেতে পারে।
দেয়ালে তাক থাকলে ব্যবহার করা যেতে পারে একসেন্ট লাইট। এটি নির্দিষ্ট জিনিসকে হাইলাইট করবে। খাবারের ঘরে শেলফ থাকলে তা হাইলাইট করে একসেন্ট লাইটিং করা যেতে পারে।
তবে খাবারের ঘরে ওয়ার্ম লাইট এমনভাবে ব্যবহার করতে হবে, যেন খাবারগুলো ভালোভাবে দেখা যায়। এতে খাবার থেকে কাঁটা ও হাড় সরাতে সুবিধা হয় এবং খাবারে পোকামাকড় পড়ল কি না, তা দেখা যায়।
খাবারের ঘরের দেয়ালে হলুদের মতো উজ্জ্বল রং ব্যবহার করলে এবং ঘরে যদি ওয়ার্ম কোনো লাইট ব্যবহার করা যায়, তাহলে ঘরের সৌন্দর্য আরও বেড়ে যাবে।
ছবি কিংবা ঘরে রাখা গাছ হাইলাইটের জন্য স্পটলাইট সেট করতে পারেন।
কোণে ঝুলন্ত বাতি ভিন্নমাত্রার শোভা যোগ করতে পারে ঘরে। বেডরুমে বিছানার পাশে একটা হালকা হলুদ ল্যাম্প রাখা যেতে পারে। এটি ঘরের সৌন্দর্য বাড়ানোর সঙ্গে ঘর উষ্ণ ও আরামদায়ক করে তুলবে।
সূত্র: বেলা ভি ইন্টেরিয়র