Homeরাজনীতিশেখ হাসিনার আমল এবং বর্তমান আমল পার্থক্য করতে পারছি না: দুদু

শেখ হাসিনার আমল এবং বর্তমান আমল পার্থক্য করতে পারছি না: দুদু


শেখ হাসিনার শাসনামলের মতো বর্তমান সরকারের আমলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেছেন, হাসিনার আমলে গুম-খুন হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ছিল নাজুক। তখন মানুষের বাক্‌স্বাধীনতা ছিল না, আদালত ব্যবহার করে তারেক রহমানের বক্তব্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়েছিল। এখনো পরিস্থিতির তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দেশে যে সংকট তৈরি হয়েছে, এই সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দরকার। এই বিষয়টি দেশের সাধারণ মানুষ সবাই বুঝতে পারছে। কিন্তু সরকার বুঝতে পারছে না। সরকার বুঝলেও তা করছে না।

আজ শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

দুদু বলেন, ‘দেশে যে সংকট তৈরি হয়েছে, এই সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দরকার। এই বিষয়টি দেশের সাধারণ মানুষ সবাই বুঝতে পারছে। কিন্তু সরকার বুঝতে পারছে না। সরকার বুঝলেও তা করছে না। এই সরকার গঠন হয়েছে সাত মাস চলে। এই সাত মাসে কোনো সংস্কার তারা করতে পারে নাই। এমনকি বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যে রকম ছিল এখনো সে রকম আছে।’

দুদু আরও বলেন, ‘হাসিনার আমলে মামলা হয়েছে। গুম, খুন হয়েছে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছে। ৬০ লাখ মামলা হয়েছে। সেই মামলাগুলো এই সরকার এখনো প্রত্যাহার করেনি। হাসিনার সাথে এই সরকারের যে পার্থক্য থাকার কথা। মামলা প্রত্যাহার না করার প্রেক্ষিতে বোঝা যায়। হাসিনার একটি কাজের স্বীকৃতি এ সরকার পরোক্ষভাবে হলেও দিয়েছে। আমরা এটা প্রত্যাশা করিনি।’

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘ডক্টর ইউনূসের নামে যে মামলাগুলো ছিল, তিনি ক্ষমতায় আসার পরে সবগুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছে। অন্যায়ভাবে তাঁর নামে মামলা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো প্রত্যাহার করেছে ঠিক আছে। কিন্তু গত ১৬ থেকে ১৭ বছর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা যে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। যার জন্য অত্যাচারিত হয়েছে। গুম-খুন হয়েছে, তেমনি মামলা শিকার হয়েছে, সেই মামলাগুলো প্রত্যাহার করার উচিত ছিল। আমি অতি দ্রুত সেই মামলাগুলো প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।’

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘হাসিনার আমলে গুম-খুন হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল না। মানুষের বাক্‌স্বাধীনতা ছিল না। আইন আদালত ব্যবহার করে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য নিষিদ্ধ করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করা হয়েছিল। সেই সময়েও আইনশৃঙ্খলা বলতে কিছু ছিল না। এখনো মানুষ রাস্তায় বের হতে ভয় পায়। কোনো নির্জন জায়গায় একা গেলে তার ওপর গুলি করা হচ্ছে, ছিনতাই করা হচ্ছে। শেখ হাসিনার আমল এবং বর্তমান আমল আমি পার্থক্য করতে পারছি না। তাই সরকারকে বলব আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো করার জন্য। যদি না করতে পারে তাহলে এখনো তাদের যে জনপ্রিয়তা আছে তা শূন্যর কোঠায় নেমে যাবে।’

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, সরকারের প্রতি এ দেশের জনগণ ভালোবাসা ও সমর্থন জানায়। কিন্তু কাজের কাজ না করলে মানুষ সমর্থন প্রত্যাহার করতে বিন্দু পরিমাণ সময় নেবে না। সেই জন্য সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। মানুষের কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। নিরাপদে যাতে চলতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে।

দুদু বলেন, ‘সীমান্তে পার্শ্ববর্তী দেশ অতীতে যেমন বাংলাদেশিদের গুলি করতে হত্যা করত, এখনো করছে। কিন্তু সরকার এর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এর ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা কোনো দেশের সঙ্গে শত্রুতা চাই না, সবার সাথেই বন্ধুত্ব চাই। কিন্তু ফারাক্কায় পানি নাই, তিস্তায় পানি নাই। এর ব্যবস্থা করতে হবে। যদি এর ব্যবস্থা সরকার করতে না পারে। তাহলে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। জনগণের সরকারের হাতে ক্ষমতা দেন। যে দল ক্ষমতায় আসবে তারা এর ব্যবস্থা করবে।’

আয়োজক কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন। নাগরিক সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, জাসাসের সাবেক সভাপতি রেজাবউদ্দৌলা, সাবেক কৃষক নেতা এস কে সাদী, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত