বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মু. তাহের বলেছেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কারা আছে, সেটা এখনও স্পষ্ট করে আসেনি। ইশারা ইঙ্গিতে এবং নানা তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে এটা পরিষ্কার করে বোঝা যায়— এটা তাৎক্ষণিক সে সময়ের কোনও দুর্ঘটনা না। কারণ ডাল-ভাতের কর্মসূচির বৈষম্যের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া এত উচ্চ পর্যায়ের এতজন সৈনিককে হত্যা করার ঘটনাটি স্বাভাবিক বলে বিবেচিত হতে পারে না। কিছু মারা যেতে পারতো, দুই-চার জনকে গুলি করে দিতে পারতো। কিন্তু ৫৭ জন চৌকোস সেনা কর্মকর্তা, এর পেছনে নিশ্চয়ই বড় কোনও পরিকল্পনা আছে। সেই পরিকল্পিত শক্তি ভারত। ভারত জড়িত পরিষ্কার করে বলতে চাই।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কর্তৃক ‘২০০৯ সালে পিলখানায় দেশপ্রেমিক সেনাকর্মকর্তাদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে’ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুল্লাহ মু. তাহের বলেন, ভারতের এই দেশীয় যে সংস্করণ, ভারতীয় বাংলাদেশীয় এজেন্ট বললে কভার হয় না। ভারতীয় এখানকার যে প্রক্সি তাদের মাধ্যমেই এটা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর কারণ ও উদ্দেশ্য না বললেও আমরা জানি। এখন আমরা যেটা মনে করি যে, স্বাধীন যে তদন্ত কমিশন গঠন হয়েছে, সেটার চেয়ারম্যান ওয়াদা করেছেন, তিনি যথাযথভাবে সত্য উদঘাটন করবেন। এবং সঠিক তথ্যের মাধ্যমে দোষীদের যার যতটুকু দোষ আছে, সেভাবে সঠিক বিচার উনি করবেন। আমরা চাই, তার বক্তব্য সত্য প্রমাণিত হোক।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এ সময় দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।