খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক সুস্থতার ওপর নির্ভর করে আমরা যাতে অতি দ্রুত ওনাকে বিদেশে মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারি। আমরা সেই প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’
তিনি জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে প্রথমে ‘লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখানে থেকে তাকে তৃতীয় একটি দেশে মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি মেডিক্যাল সেন্টারে নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এসব কথা জানান জাহিদ হোসেন। এদিন সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘তার অংশ হিসেবে আমরা লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ভাড়া করার জন্য কাজ শুরু করেছি, যোগাযোগ চলছে।’
‘প্রথমে ম্যাডামকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে স্টেওভারের পর মাল্টি ডিসেপ্ল্যানারি মেডিক্যাল সেন্টার যে দেশে আছে, সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। আমরা আশা করছি, সব কাজগুলো সম্পন্ন করেই অতিদ্রুতই ম্যাডামকে বিদেশে নিয়ে যেতে পারবো।’
অধ্যাপক জাহিদ বলেন, ‘ম্যাডাম গুলশানের বাসায় আগের মতোই মেডিক্যাল বোর্ডের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধায়নে আছেন। বলতে পারেন ওনার অবস্থা স্থিতিশীল।’
তিনি জানান, বেগম খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইতোমধ্যে তার বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাবেন। সে বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও তার কার্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কারণ ম্যাডামের সঙ্গে চিকিৎসক-নার্সসহ আত্মীয়-স্বজন যারা যাবেন, তা জানানো হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপি চেয়ারপারসনের লিভার ট্রান্সপারেন্ট করতে হবে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র দুই-একটি সেন্টার রয়েছে। সেখানকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।