অভিনেত্রী নাবিলা বিনতে ইসলাম। নাটকের মাধ্যমে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু ২০১৬ সালে। এর কয়েক বছরের মধ্যে টিভি নাটকের ব্যস্ত একজন তারকা হয়ে উঠেন তিনি। এরপর নির্মাতাদের কাছেও বেড়ে যায় তার চাহিদা। বাড়তে থাকে ব্যস্ততা। এখন তিনি নাটক, মডেলিংয়ের পাশাপাশি উপস্থাপনাও করছেন। তবে রয়েছে বড় পর্দায় অভিনয়ের স্বপ্ন, যা নিয়ে কালবেলার সঙ্গে কথা হয় নাবিলার।
নাটকে ব্যস্ত এই অভিনেত্রী বড় পর্দায় কাজের স্বপ্ন দেখেন। তিনি মনে করেন এই স্বপ্ন প্রত্যেক অভিনেত্রীর আছে। এরপর তার কাছে জানতে চাওয়া হয় বড় পর্দায় তিনি নায়ক হিসেবে তার বিপরীতে কাকে চাইবেন। উত্তরে নাবিলা বলেন, ‘আমি শাকিব খানকে খুব পছন্দ করি। তার মতো বড় তারকা ইন্ডাস্ট্রিতে এ মুহূর্তে আর একজনও নেই। তাই কাজের সুযোগ হলে আমি তার সঙ্গেই অভিনয় করব। কারণ তার বিকল্প নেই। আমি কখনো তার বিপরীতে অভিনয়ের সুযোগ পেলে হাত ছাড়া তো করবই না, বরং নিজের সেরাটি দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
এ সময় তিনি আরও একজন নায়কের নাম বলেন, যার সঙ্গে তিনি কাজ করতে চান। নাবিলার এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন আরিফিন শুভ।
নাটকের পাশাপাশি নাবিলার ওটিটিতেও ব্যস্ততা রয়েছে। এরই মধ্যে তিনি একটি ওয়েব ফিল্মেও অভিনয় করেছেন। গল্পনির্ভর কাজকে প্রাধান্য দেওয়া এই অভিনেত্রী মনে করেন, যে কোনো কাজের প্রধান শক্তি হচ্ছে তার গল্প। তাই ভালো গল্প হলে যে কোনো প্ল্যাটফর্মেই কাজ করতে প্রস্তুত তিনি।
এ সময় নিজের ব্যস্ততা নিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি সবসময় কাজের মধ্যে থাকতে চাই। তার মনে শুধু অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত থাকব তা নয়। পরিবার নিয়েও আমিও ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করি। আর এখন অভিনয়ের পাশাপাশি আমি উপস্থাপনা করছি। আর আমার মেয়েকে নিয়েও ব্যস্ত সময় কাটছে। তাই আলহামদুলিল্লাহ ভালো ব্যস্ততা যাচ্ছে।’ তবে এরইমধ্যে সিনেমায় নাম লেখিয়েছেন নাবিলা। ‘যুদ্ধ জীবন’ শিরোনামের এই সিনেমার ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে ২০২৪ সালে। তবে সরকারি অনুদানের এই ছবির আর কোনও অগ্রগতি নেই। এর কারণ হিসেবে নাবিলা জানান, সরকার পরিবর্তনের পর এই সিনেমাটি নিয়ে আর কোনও আপডেট পাননি তিনি। আর কবে হবে তাও জানা না নাবিলা। এই সিনেমার মুক্তি নিয়েও তার কোনও আশা নেই।
‘যুদ্ধ জীবন’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আক্তার রচিত সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছিল। ছবিটির পরিচালক রিফাত মোস্তফা। ছবিতে নাবিলার বিপরীতে ছিলেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস।