আসন্ন ঈদ উপলক্ষে মুক্তি পেতে যাচ্ছে দেশের জনপ্রিয় নাট্য নির্মাতা মারুফ হোসেন সজীবের নতুন নাটক ‘খুশি’। সময়ের জনপ্রিয় দুই তারকা ইয়াশ রোহান ও তানজিন তিশা এতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন। নাটকটি নিয়ে নির্মাতা সজীব সম্প্রতি কালবেলার সঙ্গে তার অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন-
‘খুশি’ নাটকের একটি দৃশ্যে তানজিন তিশা ও ইয়াশ রোহান। ছবি : নির্মাতার সৌজন্যে
‘খুশি’ কী ধরনের গল্প?
আমার খুবই পছন্দের একটা গল্প। এই গল্পের চিত্রনাট্য তৈরি করতে আমার অনেক সময় লেগেছে। শুটিং অল্প সময়ে করলেও আমরা আগে থেকেই কাজটি গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। গল্পটি ঠিকঠাক বানানোর ব্যাপারে কোনো ছাড় দিইনি। বাজেটের বড় সংকট ছিল, তবুও চেষ্টা করেছি যথাযথভাবে সম্পন্ন করার।
ভালো গল্পে নাটক বানাতে পারলে কেমন অনুভূতি হয়?
এই উত্তরটা কতটা দিতে পারব জানি না, কারণ ভালো গল্পে নাটক বানানোর অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আমাদের নির্মাতাদের জীবন আসলে গল্প বানানোর জন্যই। জীবনের যত দুঃখ-কষ্ট, পাওয়া-না-পাওয়া—সবকিছুই গল্পের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। ভালো গল্প বানানোর অনুভূতির জন্যই নির্মাতারা সবসময় চেষ্টা চালিয়ে যান।
শুটিংসেটে পরিচালক মারুফ হোসেন সজীব। ছবি : নির্মাতার সৌজন্যে
‘খুশি’-তে ইয়াশ রোহান ও তানজিন তিশার অভিনয় কেমন ছিল?
ইয়াশ রোহান ও তানজিন তিশা দুজনই আমার খুব প্রিয় অভিনেতা ও অভিনেত্রী। তাদের অভিনয় নিয়ে বলার কিছু নেই। ‘খুশি’ নাটকে আমি আমার সব চরিত্রকেই ডাউনটোনে রেখে অভিনয় করানোর চেষ্টা করেছি। আন্ডার-অ্যাক্টিং ব্যাপারটা সহজ নয়, সবাই চাইলেও করতে পারে না। নাটকে এই চর্চাটা খুব কম হয় বলেই আমি মনে করি। তবে আমার ‘খুশি’ গল্পে সবাই সেরাটা দিয়েই চেষ্টা করেছে। সবার চেষ্টা ছিল প্রবল। এছাড়া নাটকটির একটি বিশেষ চরিত্রে সুষমা সরকারও দূর্দান্ত অভিনয় করেছেন।
আপনার কী মনে হয় ‘খুশি’ কি এবারও দর্শকদের মন ছুঁতে পারবে?
অবশ্যই, যারা ‘খুশি’ দেখবে, তারা এটি মনে রাখবে। ‘খুশি’র চরিত্রটি অনেকদিন দর্শকদের মনে বেঁচে থাকবে। তানজিন তিশা এখন একজন পরিপূর্ণ অভিনেত্রী। সময় পেলে তিনি অসম্ভবকেও সম্ভব করে তুলতে পারেন। এ নাটকটি সবাই দেখতে পাবেন ইদের ৪র্থ দিন জি সিরিজের ইউটিউব চ্যানেলে।
পূর্বের তুলনায় এবার ঈদে আপনার কাজ কম আসছে। গত বছরের দুই ঈদে অনেক বেশি কাজ ছিল। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি?
এই ঈদে সব নির্মাতারই কাজ কম। দেশের খারাপ পরিস্থিতি ইন্ডাস্ট্রির সবকিছু থামিয়ে রেখেছে। প্রযোজক সংকট, ব্র্যান্ডিং সংকট, বাজেট সংকট—সব মিলিয়ে একটা তালগোল পাকিয়ে গেছে। সব নির্মাতাই একই সংকটে আছে। দোয়া করি, আমাদের দেশের সবকিছু আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুক। সবার জীবন সুন্দর হোক।
‘খুশি’ ছাড়া আর কী কী কাজ আসছে ঈদে?
আরেকটি ভালোবাসার নাটক আসছে। নাটকের নাম ‘দুজন দুজনার।
‘দুজন দুজনার’ নাটকে কারা অভিনয় করেছেন?
এই নাটকে কাজ করেছেন ইয়াশ রোহান ও তানজিন সায়রা তটিনীসহ আরও অনেকে। কাজটি এনটিভিতে প্রচারিত হবে।
‘দুজন দুজনার’ গল্পে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
তটিনীর সঙ্গে এটি আমার প্রথম কাজ। ওর মধ্যে ভালো করার প্রবল চেষ্টা আছে। সবকিছু গুছিয়ে করার চেষ্টা করে। তটিনীকে নিয়ে চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে কাজ করা যেতে পারে। আশা করছি, ভবিষ্যতে ভালো কোনো গল্পে চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে তার সঙ্গে কাজ হবে।
প্রায়ই শুনতে পাওয়া যায় আপনি ও খাইরুল বাসার নির্মাতা-অভিনেতা জুটি। প্রায় সময়ই আপনাকে তার সঙ্গে কাজ করতে দেখা যায়, কিন্তু এবারের ঈদে আপনাদের কাজ নেই কেন?
এটা আমার জন্য কষ্টের যে, খাইরুল বাসারের সঙ্গে এবারের ঈদে আমার কোনো কাজ আসছে না। তবে আমরা বেশ কিছু ভালো গল্প নিয়ে পরিকল্পনায় আছি। এবারের ঈদটা হয়তো তার সঙ্গে কোনো কাজ আসছে না কিন্তু খুব শিগগিরই দর্শক আমাদের দুর্দান্ত গল্প দেখতে পাবে।
দর্শকদের উদ্দেশ্যে কী বলবেন?
দর্শকদের ঈদের শুভেচ্ছা। আমার জন্য দোয়া রাখবেন। ঈদে দেশীয় নাটক দেখবেন।