Homeবিনোদনকেমন কাটছে ভালোবাসার সংসার

কেমন কাটছে ভালোবাসার সংসার


ভালোবাসাটা দ্বিগুণ হয়েছে

গত বছর জুন মাসে সালমান আরাফাতের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন সালহা খানম নাদিয়া। সহশিল্পী হিসেবেই শুটিং সেটে সালমানের সঙ্গে প্রথম পরিচয়। ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব, তারপর বিজনেস পার্টনার, এরপর বিয়ে। বিয়ের পর থেকে ভালো সময় কাটছে এই অভিনেত্রীর। ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবনে ব্যস্ততা বেড়েছে বলেও জানালেন তিনি। নাদিয়া বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে খুব ভালো সময় যাচ্ছে। আমি যেহেতু শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকি, তাই অনেকটা সময় আমাদের আলাদা থাকতে হয়। তবে চেষ্টা করি শুটিং ও সংসার দুটোই ঠিকভাবে মেইনটেইন করতে। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেটা আমাদের দুজনের মধ্যেই আছে। এবার ভালোবাসা দিবসের কয়েক দিন আগে থেকেই কোনো শুটিং রাখিনি। এই কটা দিন নিজেদের মতো করে কাটাতে চাই।’

নাদিয়া জানালেন অন্য সব দম্পতির মতো তাঁদের মধ্যেও মনোমালিন্য হয়। তখন কেউ কারও জন্য অপেক্ষা না করে দুজনেই এগিয়ে আসেন মান ভাঙাতে। নাদিয়ার কথায়, ‘বড় কোনো ঝগড়া আমাদের হয়নি। কথা-কাটাকাটি বা মনোমালিন্য হয়। তবে, রাগটা আমরা পুষে রাখি না। দুজনে মিলে সমাধান করে ফেলি। কম্প্রোমাইজ বা সেক্রিফাইস মাইন্ড তো থাকতেই হবে যেকোনো সম্পর্কে। আমরা দুজনেই ম্যাচিউরড। আমরা যদি রাগ করে কথা বলা বন্ধ করে দিই, তাহলে ক্ষতি তো দুজনেরই। তাই কে আগে সমাধানে এগিয়ে আসবে তা নিয়ে ভাবি না। আমরা তো আগে বন্ধু, তারপর স্বামী-স্ত্রী।’

ভালো দিবসের পরিকল্পনা জানতে চাইলে নাদিয়া বলেন, ‘আমি কখনোই ঘটা করে ভালোবাসা দিবস উদ্‌যাপন করি না। আমার মনে হয়, ভালোবাসতে নির্দিষ্ট কোনো দিনের প্রয়োজন পড়ে না। কাজ না থাকলে সব সময় আমার পরিবারকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করি। আমার পরিবারে তার মতো সুন্দর মনের একজন মানুষ যোগ হয়েছে, তার পরিবারে আমি জয়েন করেছি। সব মিলিয়ে ভালোবাসাটা দ্বিগুণ হয়েছে আমার জীবনে। আমাদের জন্য প্রতিটি দিনই ভালোবাসা দিবস। তাই ১৪ ফেব্রুয়ারি ঘিরে কোনো আলাদা পরিকল্পনা নেই। সারা দিন নিজেদের মতো করে সময় কাটাব। রাতে পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে ডিনার করব।’

শিরিন শিলা ও আবিদুল মোহাইমিন সাজিল

শিরিন শিলা ও আবিদুল মোহাইমিন সাজিল

সেক্রিফাইস মাইন্ড থাকাটা জরুরি

ছয় বছর আগে আবিদুল মোহাইমিন সাজিলের সঙ্গে প্রথম পরিচয় শিরিন শিলার। পরিচয় থেকে ভালো লাগা, একসময় গড়ে ওঠে প্রেম। সেই সম্পর্ক বিয়েতে পরিণতি পায় গত বছর অক্টোবরে। বিয়ের পর জীবন আরও মধুর হয়েছে বলে জানালেন শিলা। নায়িকার ভাষ্য, ‘সংসারজীবনটা অনেক আনন্দের, অনেক মধুর। ছয় বছর প্রেমের পর আমাদের বিয়ে হয়েছে। প্রেম করে যতটা হ্যাপি ছিলাম, সংসারজীবনে তার চেয়ে হ্যাপি। প্রেম করার সময় একটা চিন্তা ছিল, আমি ওকে পাব কি না। এখন তো সেই চিন্তাটাও নেই। ওকে আপন করে পেয়েছি এটাই বড় প্রাপ্তি। এই স্বল্প অভিজ্ঞতায় মনে হচ্ছে, সংসারজীবনে সেক্রিফাইস মাইন্ড থাকাটা জরুরি। এটা দুজনের মাঝে থাকলে ঝগড়াঝাঁটি হয় না। আমাদের সেই সেক্রিফাইস মাইন্ড আছে। দুজন দুজনের মতামত ও ভাবনাকে প্রাধান্য দিই।’

তাই বলে শিলার সঙ্গে সাজিলের একেবারেই যে ঝগড়া হয় না, তা কিন্তু না। ঝগড়া লাগলে শিলাই উত্তেজিত হয়ে হাতের কাছের জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন। আর সাজিল থাকেন চুপচাপ। তবে সেটা দীর্ঘয়িত হতে দেন না দুজনের কেউ। বুঝতে পারেন মনোমালিন্য সাময়িক আর ভালোবাসা চিরদিনের।

শিলার কাছে ভালোবাসার মানে হলো হৃদয়ের টান। তিনি বলেন, ‘আমি অন্তর থেকে কারও জন্য ফিল করছি বা কারও কথা মনে হলে আমার হৃদয়ে একটা ঘণ্টা বাজছে। আমার স্বামী পাশে থাকলে নিজের কাছে আনন্দ ফিল হয়। দূরে থাকলে তার কথা ভাবলে মন আনন্দে ভরে ওঠে। আমার কাছে এটাই হচ্ছে ভালোবাসা। বিশ্বাস, সেক্রিফাইস, শ্রদ্ধা—সব মিলিয়েই ভালোবাসা। সংসার করতে করতে একসময় নাকি ভালোবাসার মানুষের প্রতি অনীহা চলে আসে। এই অনীহাটা যেন আমাদের মধ্যে তৈরি না হয়, সেটাই চাওয়া।’

এবার ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন শিলা ও তাঁর স্বামী। তবে শেষ মুহূর্তে তা আর হয়নি। শিলা বলেন, ‘এবার ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে দেশের বাইরে হানিমুনে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু ভালোবাসা দিবস আর শবে বরাত একসঙ্গে পড়েছে। আমি চাই, এবার এই বিশেষ দিনে আল্লাহর কাছে চাইব, তিনি যেন আমাদের সারা জীবন সুখে রাখেন।’





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত