অস্কারজয়ী সংগীত পরিচালক এ আর রহমান গতকাল রোববার রাতে চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আজ সোমবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। এর মধ্যে সায়রা বানু ভক্তদের অনুরোধ জানিয়েছেন, তাঁকে যেন ‘প্রাক্তন স্ত্রী’ বলা না হয়!
গত বছর বিবাহ বিচ্ছেদের খবর জানান অস্কারজয়ী সঙ্গীশিল্পী এ আর রহমান। কিন্তু সায়রা বানু জানালেন তাঁরা এখনো স্বামী-স্ত্রী! গতকাল রোববার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক অডিওবার্তায় সায়রা বানু এ কথা জানান।
আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো বিচ্ছেদ হয়নি উল্লেখ করে ভক্তদের অনুরোধ করেন, তাঁকে যেন এ আর রহমানের প্রাক্তন স্ত্রী না বলা হয়।
এক ভয়েস নোটে সায়রা বানু এ বিষয়ে কথা বলেন। তিনি শুরুতেই সালাম জানিয়ে বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। আমি তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। শুনেছি, তাঁর বুকে ব্যথা হয়েছিল এবং তিনি অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করিয়েছেন। আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি এখন ভালো আছেন, সুস্থ রয়েছেন।’
সায়রা আরও বলেন, ‘আমি সবার উদ্দেশে বলতে চাই, আমরা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তালাকপ্রাপ্ত নই, আমরা এখনো স্বামী–স্ত্রী। শুধু আমি গত দুই বছর ধরে ভালো বোধ করছিলাম না বলে কিছুটা আলাদা ছিলাম, যাতে তাঁর ওপর বাড়তি চাপ না পড়ে। কিন্তু দয়া করে আমাকে “এক্স–ওয়াইফ” বলবেন না। আমরা শুধু আলাদা থাকছি, তবে আমার দোয়া সব সময় তাঁর সঙ্গে রয়েছে। আমি বিশেষভাবে তাঁর পরিবারকে অনুরোধ করব, তাঁকে অতিরিক্ত চাপ দেবেন না এবং ভালোভাবে দেখাশোনা করবেন। ধন্যবাদ, আল্লাহ হাফিজ।’
আজ সকালে এ আর রহমানের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সংগীত পরিচালক অসুস্থ অনুভব করায় গত রাতে চেকআপের জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকের জানিয়েছেন, রোজা রাখার কারণে তিনি পানিশূন্যতায় ভুগছিলেন, এটা অসুস্থতার মূল কারণ।
এ আর রহমানের মুখপাত্র এনডিটিভিকে বলেন, তিনি গতকাল লন্ডন থেকে ফিরে আসার পর অসুস্থ বোধ করেন। তাই চেকআপের জন্য হাসপাতালে যান। চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর অসুস্থতার মূল কারণ পানিশূন্যতা, যা রোজা রাখার কারণে আরও বেড়ে গিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত বছর এ আর রহমান ও সায়রা বানু তাঁদের আইনজীবীর মাধ্যমে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। দীর্ঘ ২৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের পর তাঁরা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁদের তিন সন্তান রয়েছে—পুত্র এ আর আমিন এবং দুই কন্যা খাতিজা রহমান ও রাইহিমা রহমান।
বিচ্ছেদের ঘোষণা আসার পর এ আর রহমান এক আবেগঘন বার্তায় বলেছিলেন, ‘আমরা ৩০ বছর আজীবন একসঙ্গে থাকার আশা করেছিলাম, কিন্তু সবকিছুরই অদৃশ্য এক সমাপ্তি রয়েছে। এমনকি সৃষ্টিকর্তার সিংহাসনও হয়তো ভাঙা হৃদয়ের ভারে কেঁপে ওঠে। তবুও, এই ভাঙনের মাঝেও আমরা অর্থ খুঁজে ফিরি, যদিও টুকরোগুলো হয়তো আর একত্রিত হবে না। আমাদের বন্ধুদের ধন্যবাদ জানাই, আমাদের এই নাজুক অধ্যায়ে আমাদের গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য।’