বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের রহস্যজনক মৃত্যুর পাঁচ বছর পর তদন্তের ইতি টানল ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই। ২০২০ সালে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় নিজ বাসভবনে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়, যা পুরো দেশজুড়ে চাঞ্চল্যকর অবস্থার সৃষ্টি করে। অবশেষে দীর্ঘ ৫ বছর পর সুশান্তের মৃত্যুসংক্রান্ত দুটি মামলারই অন্তিম রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। খবর : টাইমস অব ইন্ডিয়া
তদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে, সুশান্তের এ মৃত্যুর ঘটনা আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হয়েছিল।
অন্তিম রিপোর্টেও সিবিআই নিশ্চিত করল, আত্মহত্যাই করেছিলেন অভিনেতা। তদন্তে খুন বা আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মতো বিষয় উঠে আসেনি বলে জানানো হয়েছে।
সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তভার প্রথমে ছিল মুম্বাই পুলিশের হাতে। ময়নাতদন্তের পর তারা জানিয়েছিল, আত্মহত্যা করেছেন অভিনেতা। কিন্তু আপত্তি আসে সুশান্তের পরিবারের পক্ষ থেকে। সুশান্তের বাবা কেকে সিংয়ের এফআইআরের পর ২০২০ সালের আগস্টে মামলার তদন্তভার পায় সিবিআই।
সুশান্তের পরিবারের অভিযোগ ছিল, সুশান্তের বান্ধবী অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন। রিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা সুশান্তের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও অভিযোগ করেন সুশান্তের বাবা। এমনকি, রিয়া সুশান্তের খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছেন বলেও দাবি ছিল তার। তবে এসব অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি, জানিয়েছে সিবিআই।
পরে রিয়ার পালটা অভিযোগ ছিল, সুশান্তের দিদি প্রিয়াঙ্কা সিং রাজপুত ও দিল্লির এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। রিয়া দাবি করেছিলেন, সঠিক চিকিৎসা না করে সুশান্তকে ভুল ওষুধ দিয়েছেন সেই চিকিৎসক, প্রিয়াঙ্কা কোনো পদ্ধতি না মেনে ভাইকে সেই ওষুধ খাওয়াচ্ছিলেন।
এদিকে তদন্তের অন্তিম রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, আত্মহত্যাই করেছিলেন অভিনেতা সুশান্ত। তাকে হত্যা করা কিংবা হত্যাচেষ্টা কিংবা তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তদন্তে মাদকসংক্রান্ত কোনো দিকও উঠে আসেনি।
সুশান্তের এই মৃত্যু রহস্যে হওয়া মামলায় অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীকে ২৭ দিনের জন্য জেলে থাকতে হয়েছিল। আর এখন অন্তিম রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর সিবিআইয়ের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রিয়া চক্রবর্তীর আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডে।