অভিযোগ, নেতা, মন্ত্রী এবং সাংসদদের চাপে অনেকের নামেই ওই ‘মুক্তিযোদ্ধার গেজেট’ জারি হয়েছে। দেশের জন্য যুদ্ধ না করেও জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছিলেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে হাসিনা সরকারের আমলে গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। যারা ভুয়ো নথি দিয়ে সার্টিফিকেট নিয়েছেন সেগুলি বাতিল করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা সংস্কার করা হবে।’ তাঁর দাবি, ‘প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠীকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের ত্যাগকে মূল্যায়ন করতে হলে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় সংস্কার প্রয়োজন।’ কারোর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলেই তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিব ইসরাত চৌধুরী। ইতিমধ্যেই ভুয়ো মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে সেই সার্টিফিকেট বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে আওয়ামি লিগ ক্ষমতায় আসার পরে এই তালিকা করা হয়। মুক্তিযোদ্ধার তালিকা নিয়ে বিতর্ক থাকায় ২০১১ সালে ষষ্ঠ দফায় নতুন করে চূড়ান্ত তালিকা তৈরির কাজ শুরু করে হাসিনার সরকার। ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে প্রায় দেড় লক্ষ আবেদন গ্রহণ করা হয়। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে সেগুলি যাচাই-বাছাই শুরুর পরে ২০২১ সালে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধার সমন্বিত তালিকা’র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ওই তালিকায় এখন পর্যন্ত ১লক্ষ ৯৩হাজার ৭৪৩ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ওই তালিকায় নাম ছিল হাসিনার আমলের একাধিক মন্ত্রী-সাংসদদের। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করলেও তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা হয় বলেও অভিযোগ।