বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের গোড়ার কথা ছিল বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন। আমরা এখনো প্রত্যাশা রাখি, বাংলাদেশ সেই পথ থেকে বিচ্যুত হবে না। কিন্তু আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই প্রত্যাশা ও বাস্তবতার মধ্যে ফারাক থাকছে এবং ক্ষেত্রবিশেষে জবাবদিহির অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। গত ২ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নবনিয়োগ শাখা এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিসিএসে নিয়োগের জন্য সুপারিশকৃত ২২৭ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছে। অথচ বাদ পড়া প্রার্থীরা অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত!…আমরা মনে করি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গেজেটভুক্তদের বাদ দেওয়ার যে কৈফিয়ত দেওয়া হয়েছে, তা আদতে একটি ভিত্তিহীন ব্যাখ্যা!…এই বিজ্ঞপ্তি প্রশাসনিক জবাবদিহির অভাবকেই প্রকারান্তরে সামনে উপস্থাপন করছে।’
বিবৃতিতে সারদায় প্রশিক্ষণরত ২৫২ উপপরিদর্শককে অব্যাহতির প্রসঙ্গেও বলা হয়। তাঁরা বলেন, গত বছরের অক্টোবরে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে মৌলিক প্রশিক্ষণরত ২৫২ উপপরিদর্শককে (এসআই) ‘শৃঙ্খলাভঙ্গের’ কারণ দেখিয়ে অব্যাহতি দেওয়া হয়। অথচ এ ব্যাপারে এখনো বিস্তারিত কিছুই সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জাতির উদ্দেশে জানায়নি।