বাংলাদেশ দলের অনুশীলন চলছে। হাভিয়ের কাবরেরা দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। অনুশীলনে সবাই নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে দলের বড় তারকা হামজা চৌধুরী এখনও আসেননি। ১৭ ফেব্রুয়ারি সরাসরি সিলেটে আসার কথা রয়েছে। হবিগঞ্জে নানার বাড়ি থেকে একদিন পর জামাল-হৃদয়দের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দেবেন। এমনটা পরিকল্পনা রয়েছে। সবাই হামজার অপেক্ষায় আছেন।
জাতীয় দলের মিডফিল্ডার মোহাম্মদ হৃদয় কিংস অ্যারেনায় অনুশীলনের ফাঁকে বলেছেন, ‘আমরা সবসময় মনে করি, প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন, সে শক্তিশালী। তো আমরা যদি আমাদের যে পরিকল্পনা আছে, সেটা অনুযায়ী খেলতে পারি, তাহলে ভালো একটা ফলের আশা আছে ইনশাআল্লাহ।’
মাঝমাঠে হামজার সঙ্গে সংযোগ নিয়ে আবাহনীর মিডফিল্ডার জানালেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, হামজা ভাই অনেক ভালো মানের খেলোয়াড়। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা পরীক্ষিত একজন খেলোয়াড়। আমি মনে করি, তার সঙ্গে যদি খেলতে পারি, সেটি অনেক সৌভাগ্যের একটা বিষয়। আর আপনারা কম্বিনেশনের যে বিষয়টা বললেন, তিনি যদি দলের সঙ্গে যোগ দেন, তাহলে ইনশাআল্লাহ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবো।’
হামজার যেমন মানিয়ে নেওয়ার বিষয় আছে, আপনাদেরও আছে কিনা, এমন প্রশ্নে হৃদয়ের উত্তর, ‘আমরা শারীরিকভাবে ও মানসিকভাবে এই ম্যাচটার জন্য প্রস্তুত আছি। আসলে দলে অনেক খেলোয়াড়। কোচ আসলে সিদ্ধান্ত নেবেন কে খেলবে, কে খেলবে না। আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করছি, কীভাবে ভালো করে সেরা একাদশে জায়গা করে নেওয়া যায়।’
দল কাল নিবিড় অনুশীলন করতে সৌদি আরবে যাচ্ছে। সেখানে প্রস্তুতি নিয়ে হৃদয় বলেছেন, ‘আসলে সবাই লম্বা সময় একসঙ্গে থাকতে পারলে দলের সমন্বয়টা ভালো থাকে। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়াটা খুব ভালো হয়। আমরা সবাই যদি আমাদের জায়গা থেকে কোচিং স্টাফদের প্ল্যান অনুযায়ী খেলতে পারি, ভালো ও ইতিবাচক ফলের আশা করছি সবাই। আমাদের ট্রেনিং খুব ভালো হচ্ছে। ওদের শক্তি-দুর্বলতার দিক, কীভাবে খেললে আমাদের জন্য ভালো হয় এবং কীভাবে নিজেদের মাঠের মধ্যে মেইনটেইন করবো, আক্রমণ, রক্ষণ, এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ হচ্ছে।’