সভায় তোফায়েল আহমেদ স্থানীয় সরকার সংস্কারের প্রক্রিয়ায় মানসিকতার পরিবর্তনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। আজকের সভার সুপারিশ ও পরামর্শগুলো ভবিষ্যতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হবে এবং আগামী নির্বাচিত সরকারের অধীনে বাস্তবায়িত হবে। তরুণ প্রজন্মকে এ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা অপরিহার্য, কারণ তারা ভবিষ্যতের নেতা এবং নীতিনির্ধারক।’ তিনি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার সময় সভায় উপস্থাপিত সুপারিশগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্যে ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান স্থানীয় সরকারব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণের প্রয়োজনীয়তা এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে (এলজিআই) স্বতন্ত্রভাবে কাজ করার ক্ষমতা প্রদান করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
এ সভায় অন্য অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য এবং মানবাধিকারকর্মী ইলিরা দেওয়ান পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো যথাসময়ে নির্বাচন না হওয়ার কারণে যে চ্যালেঞ্জগুলোর সম্মুখীন হচ্ছে, তা তুলে ধরে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে গণতান্ত্রিক মর্যাদা বজায় রাখতে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।