স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এবার এই দুর্ভোগ লাঘবে উদ্যোগী হন কেন্দ্রীয় বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল। তাঁর পরিকল্পনা ও অর্থায়নে এলাকার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে ৭৫০ মিটার এ কাঠের সেতু নির্মাণ করেছেন। অস্থায়ী এই সেতুর সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন তেরীবাজার বড় মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা আবদুর রব, কুল্লাগড়া রামকৃষ্ণ আশ্রমের সম্পাদক প্রভাত চন্দ্র সাহা এবং খ্রিষ্টান মিশনারিজের প্রতিনিধি পঙ্কজ সাংমা।
গত শুক্রবার দুপুরে সেতু পার হতে গিয়ে দেখা যায়, ফেরীঘাটে অর্থাৎ নদীর এপাড়-ওপাড়ে বড় করে বিলবোর্ড সাঁটানো রয়েছে। তাতে লেখা আছে, এই অস্থায়ী কাঠের সেতু (দুর্গাপুর-শিবগঞ্জ) একটি অলাভজনক প্রকল্প। সেতু নির্মাণে ব্যারিস্টার কায়সার কামালের অর্থায়নে ১৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। পথচারী, বাইসাইকেল, রিকশা, প্যাডেলচালিত ভ্যান, গরু-ছাগল, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের মালামাল পারাপারে কোনো টাকা লাগবে না। শুধু ব্যক্তিগত গাড়ি, মালবাহী গাড়ি, পিকআপ, সিএনজি-ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল টোল আদায়যোগ্য। অর্জিত অর্থ স্থানীয় ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুদান এবং মানবকল্যাণে ব্যয় করা হবে লেখা রয়েছে।
স্থানীয় স্মরণিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, গত ১৫ ডিসেম্বর সেতুটি চালু হয়েছে। প্রায় পাঁচ মাসের মতো সেতুটি ব্যবহার করা যাবে। ঘাটে স্থায়ী সেতু দরকার।