বাংলাদেশ রানিং স্টাফ ও কর্মচারী ইউনিয়নের চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর সম্পাদক গোলাম শাহরিয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ১৬০ বছর ধরে আইন মেনে তাঁদের মাইলেজ সুবিধা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু সরকার আইন না মেনে এই সুযোগ-সুবিধা সীমিত করেছে। তাই তাঁদের দাবি মেনে নিতে হবে। নইলে এই ধর্মঘট কর্মসূচি চলবে।
আজ সকালে লাকসামে যাওয়ার জন্য চট্টগ্রাম স্টেশনে এসেছিলেন কলেজশিক্ষার্থী মো. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, একটি কাজে চট্টগ্রামে বড় ভাইয়ের বাসায় এসেছিলেন। কাজ শেষে ফিরে যাচ্ছেন। চট্টলা এক্সপ্রেসে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। আগামীকাল বুধবার তাঁর স্নাতক (পাস) প্রথম বর্ষের পরীক্ষা আছে। এখন ট্রেন চলাচল বন্ধ, কিন্তু তাঁকে যেতেই হবে। এখন বিকল্প হিসেবে বাসে যাওয়ার কথা চিন্তা করছেন।
ব্যবসায়িক কাজে সম্প্রতি চট্টগ্রামে এসেছিলেন ঢাকার ব্যবসায়ী মো. আলমগীর। ঢাকায় যাওয়ার জন্য সুবর্ণ এক্সপ্রেসের টিকিট কেটেছিলেন। স্টেশনে এসেছিলেন নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগে। আজ সকাল সাড়ে ছয়টায় তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ট্রেন চলাচল করবে না, এ রকম কিছু আগে জানতেন না। তাহলে সকাল সকাল আসতেন না। এখন বাসে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।