Homeদেশের গণমাধ্যমেরায়পুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর, আহত ১৫

রায়পুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর, আহত ১৫


লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেঘনার চরাঞ্চল ও মাছ ঘাট দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে দলীয় কার্যালয়, বসতবাড়ি, মৎস্য অফিস ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। এতে ১৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত দুই জনকে পাঠানো হয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে ও শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের খাসেরহাট বাজার ও বাবুরহাট বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার দুপুরে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রায়পুর ক্যাম্পের সেনা সদস্যরা অভিযান চালিয়ে উত্তর চরবংশী ইউপির ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাসেম মাতবরকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে এসেছেন।

আহতদের মধ্যে হাত বিচ্ছিন্ন বিএনপি কর্মী লিটন রাঢ়ি (৪৫) ও মাথায় জখম পাওয়া শফিক রাঢ়িকে (৪৮) দ্রুত উদ্ধার করে রায়পুর থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন চিকিৎসক।

আহত তাহমিনা, সানু বেগম, গনি রাঢ়ি, মিজান, কবির, বিল্লাল ও জিহাদ রায়পুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শেখ হাসিনার পতনের পর মেঘনার চর ও মাছ ঘাট দখল নিয়ে রায়পুরের উত্তর চরবংশী ইউপির বিএনপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করেছিল। বৃহস্পতিবার সকালে মেঘনার পাড়ের চান্দারখালের মাছ ঘাট এলাকায় উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব শামীম গাজির টেবিলের পাশে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেঙ খাসেরহাট এলাকার বিএনপির কর্মী ফারুক গাজি। মাছ ঘাটের ভাগ-বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ফের বিকালে উভয়পক্ষ আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে কৃষকদল সদস্য সচিব শামীম গাজির নেতৃত্বে তার অনুসারীরা বিএনপি নেতা ফারুক কবিরাজকে গালমন্দ করে খাসেরহাট বাজারে ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয় ব্যাপক ভাঙচুর চালান। এর পর ফারুক কবিরাজের লোকজন লোকজন শামীম গাজির মৎস্য অফিস ভাঙচুর করে তাকে ও তার অনুসারীদের ধাওয়া দেন। এ সময় গ্রুপের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে বাবুরহাট এলাকায় শামীম গাজির শ্বশুর শফিক রাঢ়ির বাড়ির দুটি ও তার পাশে মিজানের বাড়ি ও ওয়ার্কশপে হামলা, ভাঙচুর, দুটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে লুটপাট চালানোর অভিযোগ ওঠে বিএনপি নেতা ইউসুফ রাঢ়ি ভুলুসহ তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। 

এ সময় বসতঘরে থাকা ৪০ মণ সুপারি, ১০০ মণ সয়াবিন, নগদ দেড় লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার, একটি মিশুক গাড়িসহ ১৫ লক্ষ টাকার মালামালও লুটে নিয়ে যায় বলে আহত শফিক রাঢ়ি ও তার স্বজন শারমিন, মরিয়ম দাবি করেন।

বিএনপি নেতা ফারুক কবিরাজ দাবি করেন, কৃষক দলের সদস্য সচিব মাদকাসক্ত শামীম গাজি, ফরহাদ, শাহ আলী ও তাদের লোকজন মেঘনার চরাঞ্চলে মানুষের জমি ও মাছ ঘাট দখলে নেওয়ার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে বিএনপির কর্মীরাই ভাঙচুর ও মারধর করেছে।

শামীম গাজি দাবি করেন, বিএনপি নেতা ফারুক কবিরাজ এলাকায় নিজের নেতৃত্ব টিকিয়ে রাখতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দিয়ে মৎস্য অফিসসহ আমার স্বজন ও শ্বশুর বাড়ির বসতঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর এবং লুটপাট করেছে।

রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ঘটনাস্থলে সেনা সদস্যের সঙ্গে আমাদের পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনও পক্ষ থেকে মামলা হয়নি।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত