চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর প্রথম লেগ জিতে সহজ সমীকরণের সামনেই ছিল বার্সেলোনা। ড্র করলেই নিশ্চিত হতো কোয়ার্টার ফাইনাল। কিন্তু প্রয়াত দলীয় চিকিৎসকের মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছিল তাদের। তাই সেই চিকিৎকের স্মরণে সবটুকু উজাড় করে দ্বিতীয় লেগে বেনফিকাকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। দুই লেগ মিলে ব্যবধান ছিল ৪-১।
বার্সা এগিয়ে যায় ম্যাচের ১১ মিনিটে। ১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামালের অ্যাসিস্টে জাল কাঁপান রাফিনহা। দুই মিনিট বাদে সমতা ফিরিয়ে ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বেনফিকা। কিন্তু তাদের সামর্থ্য ছিল ওই টুকুই। তার পর তাদের আশাটুকু মিলিয়ে যায় ইয়ামালের বুদ্ধিদীপ্ত পারফরম্যান্সে। ২৭ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান তিনি।
৪২ মিনিটে রাফিনহার ক্লিনিক্যাল ফিনিশিংয়ে স্কোর হয়ে যায় ৩-১। অবশ্য এই গোল নিয়ে সংশয়ও দেখা দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ভার রিভিউর পর বৈধতা পায় সেটা। তাতে এই মৌসুমে ১৬ গোলে অবদান থাকলো রাফিনহার।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সার হয়ে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোলে অবদান রাখার কীর্তিটা লিওনেল মেসির। ১৪ গোলের সঙ্গে অ্যাসিস্ট ৫টি! যা করেছিলেন ২০১১-১২ মৌসুমে। রাফিনহার গোল ১১টি, অ্যাসিস্ট ৫টি।
বার্সার আধিপত্যের দিনে জয়ের ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো। কিন্তু ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং দারুণ মুভের পরও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি বল।