কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড়ি এলাকায় কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে অপহৃত পাঁচ কাঠুরিয়া মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন। অপহরণের দুই দিন পর তাদের ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা। তবে তাদের ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিতে হয়েছে দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে অপহৃতদের ৫ জনকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী পাহাড়ের পাদদেশে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মুক্তি পাওয়া পাঁচ জন হলেন, টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাঠপাড়া ও বাইন্ন্যাপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল হকের ছেলে মারুফ উল্লাহ (১৮), মোহাম্মদ হাসানের ছেলে মোহাম্মদ কাইফ উল্লাহ (১৭), হামিদুল হকের ছেলে মোহাম্মদ ইসা (২৮), মৃত কালা মিয়ার ছেলে ইউসুফ উল্লাহ (৩০) এবং শফিউল আজমের ছেলে মো. আবুইয়া (২০)
বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হুমায়ুন কাদের চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মাঠপাড়া ও বাইন্ন্যাপাড়া এলাকার ১৫ জন স্থানীয় পাহাড়ে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহে যান। একপর্যায়ে স্থানীয় চাকমাপাড়া-সংলগ্ন এলাকার পূর্ব পাশের পাহাড়ি এলাকায় একদল অপহরণকারী অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে। পরে তাদের মধ্যে পাঁচ জনকে জিম্মি রেখে অন্যদের ছেড়ে দেয়।
ইউপি সদস্য হুমায়ুন কাদের চৌধুরী বলেন, ‘বুধবার রাতে অপহৃতদের ছেড়ে দিতে স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহৃতের স্বজনরা জানান, পরে কয়েক দফা আলোচনা করে ৫ জনের পরিবার মোট ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিলে শুক্রবার সকালে তাদের ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর থেকেই পুলিশ অপহৃতদের উদ্ধারে টেকনাফের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালায়। একপর্যায়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। স্বজনরাও মুক্তিপণ দেওয়ার কোনও তথ্য পুলিশকে জানায়নি। এ বিষয়ে ৫ জনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’