জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব গাজী নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন যে আশঙ্কা থেকে ১৪৪ ধারা জারি করেছে, তা একেবারে অমূলক। উপজেলা বিএনপির যে কমিটির লোকজনের জন্য শহীদ মিনার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, তাদের শহীদ মিনারে এসে ফুল দেওয়ার শক্তি বা সাহস নেই। স্বাধীনতা দিবস আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়ানো একটি দিন। তাই এ দিনে স্বাধীনতা দিবসের মহান শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনার ফুল দিয়ে আমরা শ্রদ্ধা জানিয়েছি।’
উপজেলা বিএনপির সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব আজিজুর রহমান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজনীতি কোনো চর দখল নয়। মিরসরাই উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হতে পারে—এমন আশঙ্কা থেকে উপজেলা প্রশাসন যে ১৪৪ ধারা জারি করে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা তা ভঙ্গ করিনি। যারা শক্তি প্রদর্শন করে ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল-সমাবেশ করেছে, প্রশাসন নিশ্চয়ই তাদের বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।’
জানতে চাইলে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ‘শহীদ মিনার এলাকায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রতিবেদন প্রেরণ করবেন। সেই আলোকে আমরা পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব’।