সরকারের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধাচারণ করা এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। সরকারের সব কর্মচারী বাড়ি–গাড়ির ঋণ, মালি ভাতা, বাবুর্চি ভাতা বা বিদেশ সফরের সুযোগ পান না, বা দুর্নীতিও করেন না। তাঁদের জন্য এই মহার্ঘ ভাতা অতীব প্রয়োজনীয়।
গত বছরের শুরুর দিকেও খবর ছড়িয়ে পড়ে যে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কিন্তু শেষমেশ তা দেওয়া হয়নি, মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বেতন বাড়ানো হয়। সরকারের পক্ষে থেকে আরও বলা হয়, বেসরকারি খাতের বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে সরকারের কিছু করণীয় নেই।
কারণ, সেটা সরকারের বিষয় নয়। দেশের কর্মশক্তির সামান্য অংশই সরকারি চাকরিতে আছেন, বেশির ভাগই বেসরকারি খাতে। ফলে দেশের সিংহভাগ মানুষের প্রতি সরকারের দায় থাকবে না, এটা হতে পারে না।
এটাও ঠিক, বেসরকারি খাতের বেতন বৃদ্ধি করা সরকারের সরাসরি কাজ নয়, কিন্তু এই খাতের বেতন-ভাতা ন্যূনতম কত হবে, সে বিষয়ে অনেক দেশেই সরকারের দিকনির্দেশনা থাকে। সেটা মানা হচ্ছে কি না, তাও তদারকি করা সরকারের দায়িত্ব। বাজারব্যবস্থা একেবারে স্বাধীন হতে পারে না, তার ওপর সরকারের একধরনের নিয়ন্ত্রণ সবখানেই থাকে, যদিও আমাদের দেশে সেই নিয়ন্ত্রণ খুবই শিথিল।