রেলের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর শুরু হয়েছে ট্রেন চলাচল।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ভোর থেকে সকাল ৮টার মধ্যে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন থেকে ৫টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। তবে এসব ট্রেনে যাত্রী ছিল খুবই কম। এছাড়া প্রতিটি ট্রেনই বিলম্বে ছেড়েছে।
ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার সুজন কুমার জানান, সকাল ৬টা ৫ মিনিট থেকে সকাল ৮টার মধ্যে ৫টি ট্রেন ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন অতিক্রম করেছে। ট্রেনগুলো বিলম্বে ছেড়েছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় যাত্রী বেশ কম ছিল।
তিনি আরও জানান, ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন থেকে ঢালারচর এক্সপ্রেস রাত ৪টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও ছেড়েছে ৬টা ৫০ মিনিটে। ঢাকা-ঈশ্বরদী মেইলে ছেড়েছে ৩০ মিনিট বিলম্বে, ঈশ্বরদী কমিউটার ১৫ মিনিট বিলম্বে ৭টা ১৫ মিনিটে ছেড়েছে। এছাড়াও রাজশাহী-খুলনা রুটে চলাচলকারী সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ১৫ মিনিট ও রাজশাহী-ঢাকা রুটের মধুমতি এক্সপ্রেস ১০ মিনিট বিলম্বে স্টেশন ছেড়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ৭টায় ঈশ্বরদী জংশনে গিয়ে দেখা যায়, স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ৬টি বগি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে চাপাইনবয়াবগঞ্জের রহনপুরগামী ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন। প্ল্যাটফর্মে তেমন যাত্রী সমাগম নেই। ট্রেনের বগিতে উঠে দেখা যায় অধিকাংশ সিট খালি।
রাজশাহীগামী যাত্রী আঞ্জুমান আক্তার জানান, ভোরে ফেসবুকে দেখি কর্মবিরতি প্রত্যাহার হয়েছে। তাই তাড়াহুড়ো করে দ্রুত স্টেশনে চলে এসেছি। ট্রেনে উঠে দেখছি পুরো বগি ফাঁকা। আমিসহ চার জন এ বগিতে বসে আছি।
খুলনাগামী সাগরদাঁড়ি ট্রেনের যাত্রী আসাদুল ইসলাম বলেন, রাত ৪টার দিকে আমার এক আত্মীয় ফোন দিয়ে জানিয়েছেন সকাল থেকে ট্রেন চলবে। টিকেট আগেই সংগ্রহ করেছিলাম। তাই স্টেশনে এসেছি।
শেখ মহসীন/এফএ/এএসএম