জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ, কেন্দ্রীয় নেতারা সঠিক পথে নেই এমন অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ হাসান। তিনি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটিশন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এ পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তার পদত্যাগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলায় নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে এবং কমিটি ঘোষণার পর এ পর্যন্ত ছয় জন পদত্যাগ করেছেন। এর আগে ছাত্রলীগকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে কমিটি থেকে কয়েকজন পদত্যাগ করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফরিদ হাসান বলেন ‘গুটি কয়েক মানুষের হাত ধরে কোটা প্রথার বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছিল, যার মধ্যে আমিও একজন ছিলাম। কিন্তু বর্তমানে কেন্দ্রীয় নেতারা সঠিক পথে নেই। তারা জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে এবং ব্যক্তি কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। যশোর জেলা কমিটিতে যারা পদ পেয়েছে তাদের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে, তাদের উচ্চপদে রাখা হয়েছে যারা কখনও আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষা মনে পোষন করে না।
কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের আচরণ নিয়েও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার মতে, একজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক এক নেতার সঙ্গে খারাপ ভাষায় কথা বলেছেন, যা আন্দোলনের আদর্শের পরিপন্থী। তাই আমি জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে তার শাস্তি দাবি করছি। আমি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া কোনো দল করতে চাই না। তাই আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি। তবে ভবিষ্যতে যদি দেশের স্বার্থে বা জনগণের স্বার্থে আমাকে রাজপথে দাঁড়াতে হয়, আমি প্রস্তুত থাকবো।’
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোর জেলার আহ্বায়ক রাশেদ খানের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
গত ২৬ নভেম্বর সংগঠনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেলের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ছয় মাসের জন্য যশোর জেলা কমিটি প্রকাশ করা হয়। এতে রাশেদ খানকে আহ্বায়ক, জেসিনা মুর্শিদ প্রাপ্তিকে সদস্যসচিব করে ১১২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।