রুহুলের স্ত্রী বলেন, ‘প্রতিপক্ষ আমাদের ওপর হামলা করে, বাড়িতে থাকা টাকাপয়সা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায়।’ তিনি অভিযোগ করেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালামের লোক মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ইমরান, কামরান, মাহবুব, মাসুমসহ স্থানীয় লোকজন তাঁদের বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মোস্তাফিজুর রহমানকে ফোন করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। মোস্তাফিজুর রহমান গ্রুপের নেতা বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাসুম মোল্লা বলেন, সোমবার রাতে ভাংচুর করা মোটরসাইকেল নিয়ে গতকাল দুপুরে থানায় যাচ্ছিল আমার ভাই মামুন মোল্লা। তখন রুহুলের লোকজন তার ওপর হামলা করেন। আমরা তার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ছিলাম। এরই মধ্যে বিকেলে আমার আরেক ভাই মাহমুদ মোল্লাকে কুপিয়ে রাস্তার ওপর ফেলে রেখে যায় প্রতিপক্ষ। সন্ধ্যার দিকে তারা ঢাল–সড়কি নিয়ে আবারও বের হয়, তখন পুলিশও ছিল। এ সময় আমাদের লোকজন তাদের ধাওয়া করে, পরে তারা নিজেরা বাড়িতে আগুন দেয়।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ বলেন, বিএনপির কাউন্সিল নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। গেল পরশুও মারামারি হয়েছে। এর জেরেই গতকাল দুই পক্ষে আবার মারামারি করেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।