আজ দুপুরে পূর্ব ঘটমাঝি এলাকায় সুজনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মানুষের ভিড়। সবার মুখে সুজনের কথা। বাড়ির সামনে একটি প্লাস্টিকের চেয়ারে বসে বুক চাপড়ে কান্নাকাটি করছেন বাবা মিরাজুল ইসলাম। পাশেই সুজনের খালারাও কান্না করছেন। প্রতিবেশীরা তাঁদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
জানতে চাইলে মিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই বিদাশ বিদাশ কইরা তিন মাস ধরে বাবা-ছেলের রাগারাগি। বাড়ির লোক আমারে বলছে, সুজন ওর ফুফুর বাড়িতে আছে। তাই দুশ্চিন্তায় ছিলাম না। পরে ২৫ জানুয়ারি জানতে পারি, ফুফুর কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা লইয়া সুজন লিবিয়া গেছে। তখন থিকাই আমার মনে ভয়। আমার একমাত্র পোলা। আমি আগে জানলে ওরে কাইট্টা গাঙ্গে ভাসাইয়া দিতাম। তবু অবৈধ পথে সাগর পাড়ি দিয়া বিদাশ যাইতে দিতাম না। পোলারে নিয়ে আমার সব স্বপ্ন শ্যাষ হইয়া গেল।’