বরগুনায় ত্রিমুখী সংঘর্ষে নানা-নাতিসহ ৩ জন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ২টার দিকে আমতলী উপজেলার আমরাগাছিয়া রহমানিয়া ফিলিং স্টেশনের সামনে দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- চাওড়া ইউনিয়নের লোদা গ্রামের হিমু আকনের ছেলে আবিদ (৭), গুলিশাখালী ইউনিয়নের খেকুয়ানির ডালাচারা গ্রামের বশীর হাজির ছেলে মোটরসাইকেল চালক শহিদুল (৬০) ও আমতলীর বাইনবুনিয়ার মৃত আফতার আলীর ছেলে আতাহার (৬০)।
এছাড়া আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মনির শিকদার (৪০) সদর ইউনিয়নের পশ্চিম টিয়াখালী গ্রামের মোজাহার শিকদারের ছেলে।
জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ইউনিক পরিবহন ঢাকা মেট্রো-ব ১৪-৮৭৮১ বেপরোয়া গতিতে আমতলীর কুকুয়া ইউনিয়নের আমরাগাছিয়া বাজার এলাকার কাছাকাছি রহমানিয়া ফিলিং স্টেশনের সামনে আমতলী থেকে ছেড়ে আসা একটি মাহেন্দ্রকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এসময় মাহেন্দ্রটি ছিটকে সড়কের পাশে উল্টো হয়ে পড়ে যায়। মাহেন্দ্রর পিছনে থাকা মোটরসাইকেলটিকেও ইউনিক পরিবহন ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেল চালক ঘটনাস্থলে নিহত হন। স্থানীয়রা ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মাহেন্দ্রে থাকা আরও একজন মারা যান। অন্য একজনকে বরিশালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়।
স্বজনরা জানান, নিহত শিশু আবিদ একই দুর্ঘটনায় নিহত আতাহার আলী মাস্টারের নাতি। নানার সাথে আমতলী বেড়াতে গিয়ে ফিরে আসার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়। এদিকে নানা-নাতির মৃত্যুতে ভারি হয়ে উঠেছে এলাকার পরিবশে।
এ বিষয়ে আমতলী থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজন নিহত হয় এবং একজন আহত হয়েছে। ঘাতক বাস ইউনিক পরিবহনটিকে আটক করে আমতলী থানায় নিয়ে এসেছি। জনগণের ভিড়ের মধ্যে চালক-হেলপারকে আটক করা সম্ভব হয়নি।