প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শ্রমিকদল আয়োজিত নতুন কমিটির পরিচিতি সভা ও রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি সংবলিত লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশে বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল। এরপর সিপাহি-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব নেন। মাত্র অল্পদিনের মধ্যে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উন্নয়নশীল দেশের পথে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যতবারই অগ্রগতির পথে হেঁটেছে ততবারই বাধা এসেছে। এখনো দেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পথে হাঁটতে বিঘ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে করে পরাজিত শক্তি লাভবান হবে। তাই কাল বিলম্ব না করে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট রেজিমের সময়ে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলের ওপর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালানো হয়েছে। বিএনপি সবচেয়ে নির্যাতিত রাজনৈতিক দল। সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সবচেয়ে নির্যাতিত নেত্রী ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সবচেয়ে নির্যাতিত নেতা।
মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেন, বিরোধীমতকে দমন করে রাখতে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নির্লজ্জ দলীয়করণ করেছিল। তারা রাষ্ট্রকাঠামোকে ভেঙে দিয়েছে। দীর্ঘ গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের পর দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে। এখন দেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে। আর এজন্য আমাদের নেতা রাষ্ট্রকাঠামোকে মেরামত করার জন্য ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। জনগণ বিএনপিকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিলে এই ৩১ দফা বাস্তবায়ন করা হবে। আর এটি বাস্তবায়ন হলেই কেবল একটি সত্যিকারার্থে জনকল্যাণমুখী, সুখী, সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।