Homeদেশের গণমাধ্যমেপামেক ছাত্রদলের কমিটিতে ১১ জন ছাত্রলীগ নেতা, অতঃপর...

পামেক ছাত্রদলের কমিটিতে ১১ জন ছাত্রলীগ নেতা, অতঃপর…


পাবনা মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রদলের ২২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে ১১ পদেই নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ১১ জন নেতাকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ার অভিযোগে কমিটি স্থগিত করা হয়েছে। এ ঘটনা প্রকাশের পর সারা দেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ওই কমিটি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়।

রোববার (২৩ মার্চ) মধ্যরাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওই কমিটি স্থগিত করা হয়। এর আগে রোববার (২৩ মার্চ) দুপুরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাসির ওই কমিটির অনুমোদন দেন। একই সঙ্গে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিয়ে কেন্দ্রে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

পাবনা মেডিকেল কলেজের নবগঠিত ছাত্রদলের কমিটি এবং নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বঙ্গবন্ধু হল শাখার পূর্বের কমিটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়- শাখা ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান শুভ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কলেজের হল শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, সিনিয়র সহসভাপতি আমিমুল আহসান তনিম ছিলেন তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, সহসভাপতি রাহুল রায় ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ আল ফায়াদ ছিলেন ছাত্রলীগের গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত ছিলেন ছাত্রলীগের আপ্যায়নবিষয়ক সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম ছিলেন ছাত্রলীগেরও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, আরেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ছিলেন ছাত্রলীগের সমাজসেবা সম্পাদক, আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাসরীফ আলম ছিলেন হল ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক। এ ছাড়া নবনির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বাধীন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাবিল, প্রচার সম্পাদক সামিন রাফিদ আরোহ ছিলেন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী।

এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাসিরের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিবার যোগাযোগ করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে নবগঠিত ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান শুভ বলেন, আমি কখনও ছাত্রলীগ করতাম না। কিন্তু ওই সময়ে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কলেজে যারা অ্যাকটিভ ছিল তাদেরকেই কমিটিতে সরাসরি অ্যাড করে দিয়েছিল। আমার অনুমতি না নিয়েই তারা আমাকে ছাত্রলীগের হল কমিটিতে রেখেছিল।

তবে নবনির্বাচিত সভাপতি সাগর মাহমুদ বলেন, ‘ওদের অজান্তেই ওরা হল কমিটিতে নাম ছিল কিন্তু জুলাই আন্দোলনে পদত্যাগসহ ভূমিকা ছিল। আন্দোলনের পরপরই তারা ওই কমিটিতে কীভাবে নাম এলো তা ক্লিয়ার করেছে। তারা পদত্যাগ অনেক আগেই করেছে বা সেগুলো নিয়ে আমাদের কাছে ক্লিয়ার ভিডিও আছে। এটা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।’





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত