একজন মুত্যলার জীবনে এ সময়টা বিশেষ। ঠিক যতটা বিশেষভাবে ‘বিশেষ’ শব্দটাকে সংজ্ঞায়িত করা যায়, ততটাই। ভারতের টেস্ট দলে ডাক পাওয়ার পর নীতীশই বিসিসিআই টিভিকে শুনিয়েছিলেন নিজের উঠে আসার গল্প। যে গল্প আসলে তাঁর বাবার গল্প, মুত্যলার গল্প। বিশাপত্তনমের এই মানুষটি ছেলেকে ক্রিকেটার বানাতে চাকরি ছেড়েছেন। কোচেরা যখন বাচ্চা নীতীশের খেলায় দুর্বলতা দেখে বলেছিলেন ‘ওকে দিয়ে হবে না। নিয়ে যান। পড়াশোনায় মনোযোগ দেন’—তখন মুত্যলাই নীতীশকে ৩০ কিলোমিটার দূরের মাঠে নিয়ে যেতে শুরু করেন অনুশীলনের জন্য। উদ্দেশ্য একটাই—ছেলে ভালো জায়গায় অনুশীলন করুক, ছেলে ভালো খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে উঠুক।
ক্রিকেটপাগল ভারতে বাচ্চাদের এবং বাচ্চার বাবাদের ক্রিকেটার হয়ে ওঠা ও ক্রিকেটার বানানোর কাঠখড়ের গল্প নতুন কিছু নয়। অনেকেরই আছে। কিন্তু বাচ্চা নীতীশ ছিল সেই দলে, যার বড় ক্রিকেটার হয়ে ওঠা নিয়ে বড় আকাঙ্খা ছিল না। নীতীশের মুখেই শুনুন, ‘বাবা আমার জন্য চাকরি ছেড়েছিলেন। এক দিন দেখলাম উনি কাঁদছেন। টাকা নেই। তারপর মনে হলো, না, এভাবে চলতে পারে না। খেলাটা আমি মনের আনন্দে খেলে যেতে পারি না। আমাকে কিছু একটা করতে হবে। আমি ক্রিকেটে সিরিয়াস হলাম।’