ধানমন্ডির দ্য প্যাসিফিক লাউঞ্জ প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার জাহিদুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত বছর থেকে এ বছর ক্রেতা তুলনামূলক বেশ কম। অন্য রমজানে ধানমন্ডির বেশির ভাগ বুফে রেস্তোরাঁগুলো খোলা থাকলেও এ বছর এমন রেস্তোরাঁ বন্ধ আছে। আগে থেকে বুকিং না হলে আমরাও প্রয়োজনে বন্ধ রাখছি।’
পুরান ঢাকার রেস্তোরাঁগুলো সাহ্রির জন্য বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, এবার পুরান ঢাকার রেস্তোরাঁগুলোর ব্যবসা মন্দা। ক্রেতা বেশ কম। বংশালের হোটেল রাজ্জাক সাহ্রির জন্য বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু এবার তারা ক্রেতা পাচ্ছে না। ফলে রাতের বেলায় ফাঁকাই থাকে বলা চলে।
কাপ্তানবাজারের খন্দকার রেস্তোরাঁয় এবার বেচাকেনা বেশ কম। বেচাকেনা এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে বলে জানান রেস্তোরাঁর মালিক খন্দকার রুহুল আমিন। তিনি জানান, গতবার সাহ্রির সময় প্রতিদিন ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা বেচাকেনা হতো। এবার তা ৫-৬ হাজার টাকায় নেমেছে। নিরাপত্তার কারণে ভোররাতে লোকজন কম বের হন।
ইমরান হাসান কাসুন্দি রেস্তোরাঁর মালিক। ক্রেতা না থাকায় তাঁর এই রেস্তোরাঁ রাতের পালায় লোকবল কমিয়ে দিয়েছেন। তাই তিনি লোকসানের মুখে পড়বেন বলে জানান।
স্টার রেস্তোরাঁও সাহ্রির জন্য জনপ্রিয়। কিন্তু এবার সেই জমজমাট ভাব নেই। গতকাল দুপুরে ধানমন্ডির স্টার কাবাব অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপক মনিরুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘গত বছর থেকে সাহ্রি বিক্রি এ বছর কিছুটা কম। গতবারের ১০-২০ শতাংশ ক্রেতা কমেছে। তবে কী কারণে এ রকম হচ্ছে, তা আমরা উদ্ঘাটন করতে পারিনি এখনো।’
সাহ্রির জন্য মিরপুর, বনানী, ধানমন্ডিসহ বেশ কয়েক জায়গায় রেস্তোরাঁ খোলা থাকলেও গত বছরের চেয়ে তার সংখ্যা অনেকাংশেই কম। উত্তরার বহু রেস্তোরাঁ এখন রাতে খোলা রাখা হয় না।
রাতে ঘরের বাইরে বের হওয়া নিয়ে আতঙ্ক চেপে বসেছে রাজধানীর মানুষের মধ্যে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী কাভি সালসাবিল বিনতে তাহের প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিবছর অন্তত একবার রাতে পরিবার নিয়ে সাহ্রি করতে যাই। তবে এবার ঢাকায় চুরি ও ছিনতাইয়ের খবর দেখে এখনো বাচ্চাদের নিয়ে বের হওয়ার সাহস হয়নি। পরিস্থিতি ভালো মনে হলে হয়তো সাহ্রি করতে যাব।’