মুশতাক খান বলেন, সব সময় এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। নতুন গোষ্ঠীশাসন যেন গড়ে না ওঠে, সে জন্য পাল্টা ক্ষমতার ভিত তৈরি করতে হবে। আইন করে এটা করা যাবে না, যদিও কখনো কখনো আইনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেই আইন প্রয়োগ করা হবে কি হবে না, বা কতটুকু প্রয়োগ করা হবে, তা নির্ভর করবে রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিযোগিতামূলক ধনতন্ত্র চাই। যে ধনতন্ত্রের চালিকাশক্তি হবে মাঝারি শিল্প খাত, অর্থাৎ মাঝারি শিল্প খাতে বিপুল পরিমাণ ঋণ দিতে হবে, যাতে তারা কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে পুরোনো গোষ্ঠীশাসন অক্ষুণ্ন রেখে আমরা প্রতিযোগিতামূলক ধনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারব না।’
মুশতাক খান এই মুহূর্তে করণীয় হিসেবে চারটি কাজ চিহ্নিত করেন। সেগুলো হলো নির্বাচনের আগে অবশ্যই ক্ষমতা কাঠামোর পরিবর্তন; পুরোনো ক্ষমতাকাঠামো ভাঙতে যাঁরা টাকা পাচার করেছেন, তাঁদের সম্পদ বিক্রি করে সেই অর্থ পুনরুদ্ধার ও বিদেশ থেকে টাকা ফেরত আনার ব্যবস্থা করা; বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে যেসব চুক্তি হয়েছে, সেগুলো নিয়ে পুনরালোচনা এবং ভারত প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান পুনর্নির্ধারণ।