ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) আয়োজনে নাগরিক সেবার মানোন্নয়নে বিশিষ্ট নাগরিক ও নগরবাসীর সঙ্গে গণশুনানি ও মতবিনিময়সভা চলছিল মোহাম্মদপুর সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে। গণশুনানিতে অংশ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের এলাকার নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। মশার উৎপাত, ফুটপাত বেদখল, স্ট্রিট লাইট সচল না থাকা, জলাবদ্ধতা, খাল উদ্ধার, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার দৌরাত্ম্য, কিশোর গ্যাং, খেলার মাঠ ও সড়ক মুক্ত করার দাবি করেন স্থানীয়রা।
একপর্যায়ে চাঁদাবাজি নিয়ে স্থানীয় জামায়াত নেতারা অভিযোগ তোলেন বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে। এতে করে গণশুনানিতে উপস্থিত থাকা দুপক্ষের অনুসারীদের মধ্যে হট্টগোল বেধে যায়, একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর বাসিন্দাদের সাথে গণশুনানিতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী মিজানুর রহমান ও জামায়াত নেতা মোস্তফা মাহমুনের অনুসারীদের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।
এ অবস্থায় গণশুনানিতে উপস্থিত থাকা ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, গণশুনানি একটি নাগরিক অধিকার। এখানে সব রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ নিজস্ব বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারেন। এই ধরনের সহিংসতা আমাদের গণতান্ত্রিক চর্চাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
পরে গণশুনানিতে টিসিবি কার্ডের তালিকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, পূর্বে তৈরি করা টিসিবি কার্ডের তালিকা নিয়ে সব জায়গা থেকে অভিযোগ পাচ্ছি৷ আমি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছি এগুলো যাচাই-বাছাই করে সঠিক তালিকা প্রণয়ন করার জন্য। নতুন তালিকা প্রণয়নে কোন ভাবেই রাজনৈতিক প্রভাব থাকতে পারবে না। সঠিক ব্যক্তিকে টিসিবি কার্ডের জন্য নির্বাচন করা হবে।
প্রশাসক বলেন, ফুটপাতে হকারদের উচ্ছেদে অভিযান শুরু হয়েছে। আমরা জানি হকারদের এই কার্যক্রমের পেছনে চাঁদাবাজদের চক্র রয়েছে। চাঁদাবাজ চক্রে জড়িতদের বলছি আপনারা এসব বন্ধ করে। হকারদের উচ্ছেদের জন্য চাঁদাবাজদেরও ধরা হবে।
এদিকে ডিএনসিসির আওতাধীন ১০টি অঞ্চলের নগরবাসির সমস্যার কথা জানতে গণশুনানির আয়োজন শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। গণশুনানিতে সরাসরি অংশ নিচ্ছেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। ইতোমধ্যে অঞ্চল ১,২,৩, ৪ ও ৫ এর সব ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সাথে গণশুনানি সম্পন্ন হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোত অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার আয়োজিত গণশুনানিতে অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩ ও ৩৪ নং ওয়ার্ডের আওতাধীন স্কুল-কলেজের শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, বাজার কমিটির সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক ও নেতৃবৃন্দ, সোসাইটির নেতৃবৃন্দ, যুবক ও ছাত্র প্রতিনিধি অংশ নেন।