টোকিওর একটি পরিচর্যা কেন্দ্রে দেখা গেল, পুতুল আকারের একটি রোবট পপ সংগীত গাইছে এবং সেখানকার সেবা গ্রহণকারীদের সাধারণ কিছু ব্যায়াম করাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে সেখানকার পরিচর্যাকর্মীকে সহযোগিতা করছে এটি।
পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে সবচেয়ে বেশি যে প্রযুক্তিটি এখন সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হতে দেখা যায়, সেটি হলো সেবাগ্রহীতাদের ঘুমের অবস্থা নিরীক্ষণের জন্য তাদের বিছানার নিচে ‘স্লিপ সেন্সর’ স্থাপন করা।
রোবোটিকস সোসাইটি অব জাপানের প্রেসিডেন্ট হিসেবেও কাজ করছেন গবেষক সুগানো। তিনি বলেন, মানবাকৃতির রোবটগুলো বিশ্বজুড়ে তৈরি হচ্ছে। তবে সরাসরি মানুষের সঙ্গে এগুলোকে যোগাযোগ করতে দেখা যায় না। এগুলো শুধু ঘরবাড়ির কাজ করে কিংবা কারখানার কিছু কাজ করে।
সুগানোর তৈরি এআইআরইসি রোবটটি একজন ব্যক্তিকে বসাতে বা মোজা পরাতে, কাপড় ভাঁজ করতে এবং বাড়ির অন্যান্য দরকারি কাজে সাহায্য করতে সক্ষম।
তবে সুগানোর ধারণা, ২০৩০ সালের আগে সেবা ও চিকিৎসার কাজে ব্যবহারের জন্য এ রোবট পুরোপুরিভাবে তৈরি হয়ে উঠবে না। প্রাথমিকভাবে এর জন্য খরচ হবে কমপক্ষে ১ কোটি ইয়েন (৬৭ হাজার ডলার)।