রোডস, ডমিঙ্গো, হাথুরুসিংহে এবং মাঝে পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন—বাংলাদেশ দল থেকে প্রত্যেকেরই বিদায়ের পেছনে কাজ করেছে ক্রিকেটারদের কারও কারও কাছে তাঁদের অপ্রিয় হয়ে ওঠা। এই ক্রিকেটাররাই কাউকে বলেছেন অতি কোমল, কাউকে বলেছেন অতি কঠোর। নাজমুল হাসানের বোর্ডও বারবার কোচ পরিবর্তনের সময় দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়েছে। যে কারণে এটাই কখনো স্পষ্ট করে বোঝা যায়নি যে বাংলাদেশের আসলে কেমন কোচ চাই—মানবিক কোচ, নাকি কড়া হেডমাস্টার?
বিসিবিতে সিমন্সের চাকরি লম্বা সময়ের জন্য হলে সেটা হবে মানবিক কোচ হিসেবেই। ড্রেসিংরুমে তাঁর সুনাম, তিনি খুব কড়া করে কথা বলেন না। বললেও যেটুকু প্রয়োজন, সেটুকুই বলেন। এই ছয় মাসে দলের কারও প্রতি ব্যক্তিগত রাগ–অনুরাগ দেখা যায়নি তাঁর মধ্যে।
সিমন্সের সবচেয়ে বড় গুণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে দলের সঙ্গে যখন যে স্থানীয় কোচ কাজ করেন, তাঁকে তিনি কাজ করার পর্যাপ্ত সুযোগ দেন। বিসিবির চাওয়াও এটাই, বিদেশি প্রধান কোচের সঙ্গে থেকে যেন বাংলাদেশের কোচরা নিজেদের টেস্ট দলের দায়িত্ব নেওয়ার মতো করে গড়ে তুলতে পারেন। অবশ্য ভবিষ্যতে এই কোচদের যোগ্যতাও কোমলতা এবং কঠোরতা দিয়ে বিবেচনা করা হবে কি না, সেটা পরের ব্যাপার।