চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সেই বির্তকিত প্রকৌশলীসহ ১৮ জনের পদোন্নতি পরীক্ষা হওয়ার কথা আজ বৃহস্পতিবার। এটি ঘিরে নানা প্রশ্ন দেখা দিলেও পছন্দের প্রার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী দোসর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এতে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের দায়ে একজনকে বদলিও করা হয়।
এর আগে বুধবার (৫ মার্চ ) দৈনিক কালবেলায় শেষ পাতায় ‘চসিকের প্রকৌশলীদের পদোন্নতি ঘিরে অসন্তোষ’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে নড়েচড়ে বসে চসিক প্রশাসন।
অভিযোগ আছে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে চাকরিতে সময়ের মধ্যে স্থায়ী না হওয়ার কারণ দেখিয়ে কয়েকজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে, যার কোনো বিধিমালা নেই। শুধু পছন্দের কর্তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানো হয়েছে। এদের কয়েকজন গত সরকারের সঙ্গে আতাত করে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বেও ছিলেন। তবে সেই মৌখিক পরীক্ষা আদৌ হবে কি না এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানান চসিকের অনেকেই। বিষয়টা মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন নিজেই গুরুত্বসহকারে দেখছেন বলেও জানা গেছে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সচিব আশরাফুল আমীন কালবেলাকে বলেন, বিধি ও নিয়ম মেনেই এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে পদোন্নতি কমিটিই বিবেচনা করবে। আগে থেকেই প্রকৌশল বিভাগে পদোন্নতি ঘিরে ক্ষোভ-অসন্তোষ লেগে আছে। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতির জন্য নির্ধারিত তালিকায় অনেকের নাম না থাকায় উঠেছে নানা প্রশ্ন।
চসিক সূত্রে জানা যায়, ‘মৌখিক সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ’ শীর্ষক একটি চিঠি গত সোমবার সংশ্লিষ্টদের দেওয়া হয়েছে। এতে ৬ মার্চ পদোন্নতির জন্য মৌখিক সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে বলে জানান প্রধান নির্বাহী নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ তৌহিদুল আলম।
জানা যায়, পদোন্নতির তালিকায় থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহীন উল ইসলামকে ৫ আগস্টের পর নানা অনিয়মের অভিযোগে বরিশালে বদলি করা হয়। আরেক সহকারী প্রকৌশলী (দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী) মো. শাহীন উল ইসলামকে শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যক্রমের অভিযোগে তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় ২০১৭ সালে। আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা বিতর্ক।
চসিক সূত্র এবং খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চসিকের প্রকৌশল বিভাগের সিভিল শাখায় বর্তমানে চারজন নির্বাহী প্রকৌশলী কর্মরত আছেন। কিন্তু পদোন্নতির নিমিত্তে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাক পড়েছে একজনের। বাকি তিনজনই সহকারী প্রকৌশলী পদে ৮ বছর ১০ মাস ধরে কাজ করেছেন। অনেকেরই অভিযোগ, তদবির এবং ‘আওয়ামী দোসর কানেকশন’ তকমা মুছতে শীর্ষ পদের কেউ এসব কাণ্ড করছেন।