Homeদেশের গণমাধ্যমেকোরআনে ইস্তিগফারের কথা | প্রথম আলো

কোরআনে ইস্তিগফারের কথা | প্রথম আলো


নবী (সা.) প্রতিদিন ইস্তিগফার করতেন। হাদিসের অনেক বর্ণনাতেও ইস্তিগফারের কথা এসেছে:

১. হজরত উমর (রা.) বলেছেন, ‘আমরা এক মজলিশে গণনা করতাম। রাসুলুল্লাহ (সা.) একশবার বলতেন, ‘রাব্বিগফিরলি, ওয়া তুব আলাইয়্যা; ইন্নাকা আংতাত তাউয়্যাবুর রাহিম।’ অর্থাৎ, হে আমার রব! তুমি আমাকে ক্ষমা করো এবং আমার তওবা কবুল করো; নিশ্চয় তুমি তওবা কবুলকারী ও দয়াশীল।’ (তিরমিজি, আবু দাউদ)

২. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার জীবন। যদি তোমরা গুনাহ না করো, তবে আল্লাহ তোমাদের নিয়ে যাবেন; এমন এক সম্প্রদায় নিয়ে আসবেন; যারা গুনাহ করবে এবং আল্লাহর কাছে তওবা করবে। এর পর আল্লাহ–তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেবেন।’ (মুসলিম)

৩. হজরত আলী (রা.)–কে একজন এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিল, যে গুনাহ করে তওবা করে; আবার গুনাহ করে। আবার তওবা করে আবার গুনাহ করে। আবার গুনাহের কাজে মশগুল হয় এবং আবার তওবা-ইস্তিগফার করে। এমন করতে থাকা ব্যক্তির কী অবস্থা হবে? হজরত আলী (রা.) বলেছেন, তার কর্তব্য হলো সব সময় তওবা-ইস্তিগফার করতে থাকা। কেননা তওবা-ইস্তিগফার অব্যাহত থাকলে শয়তান ব্যর্থ হয়ে যাবে। শয়তান বলবে, এ ব্যক্তিকে গুনাহর কাজে সর্বদা মশগুল রাখতে আমি অক্ষম।

৪. হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বর্ণনা করেছেন যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে তওবা করতে থাক। কেননা আমি নিজে দিনে একশবার তওবা করি।’

৫. হজরত আবু আইয়ুব (রা.) বলেছেন, আমি নবীজি (সা.)–এর কাছে এ কথা শুনেছি যা তোমাদের কাছ থেকে গোপন রেখেছিলাম; তিনি বলেছেন, যদি তোমরা গুনাহ করে আল্লাহ–তাআলার মহান দরবারে তওবা-ইস্তিগফার না করতে, তবে আল্লাহ–তাআলা এমন এক মাখলুক সৃষ্টি করতেন, যারা গুনাহ করে আল্লাহ তাআলার দরবারে তওবা করত, তখন আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করতেন। (মুসলিম)

৬. নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তিগফার (তওবা) করবে, আল্লাহ ওই বান্দাকে তার সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন।’ (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)



Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত