পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে অভিযান চালিয়ে ৪ লাখ পিস ইয়াবাসহ ১৬ মাদক পাচারকারীকে আটক করেছে র্যাব ও কোস্টগার্ড। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের স্টাফ অফিসার (ইলেকট্রিক্যাল) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তানভীর আজবাল হৃদয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে লেম্বুর বনসংলগ্ন সাগরপথে পাচারকালে ১টি মাছ ধরা ট্রলার থেকে ১টি বস্তাভর্তি এক লাখ পিস এবং ওই বন থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩টি বস্তাভর্তি আরও ৩ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
আটকরা হলো- নবী হোসেন (৫৩), মনির উদ্দিন (৪৮), সোয়দ আলম (৩৭), মোফাচ্ছেল হোসেন (৬০), মোবারক হোসেন (৪৫), ছবুর আহম্মদ (৫৪), সেলিম মাঝি (৪২), ওমর ফারুক (২৮), তহিদুল আলম (৪৮), আবু তালেব (৪০), আব্দুল নবী (৩০), ফজলে করিম (৪০), মোস্তাক আহম্মদ (৪৮), আব্দুল খালেক (৪০), আলফাত (৩০), এবং খলিল আহম্মদ (৩৯)। আটক পাচারকারীরা নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলার বাসিন্দা।
কোস্টগার্ড সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্টগার্ড ও র্যাবের যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে এফবি মায়ের দোয়া নামের একটি ফিশিং ট্রলারে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ পিস ইয়াবা এবং সমুদ্র মোহনায় অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩ আরও লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের হৃদয় স্টাফ অফিসার (ইলেকট্রিক্যাল) লে. কমান্ডার মো. তানভীর আজবাল সাংবাদিকদের সামনে ব্রিফ করে বলেন, ‘সারা দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্তৃক যৌথ বাহিনীর অভিযান অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করে কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের মোহনায় এবং লেম্বুর বন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়। এ সময় ট্রলার থেকে ১ লাখ এবং পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ সময় ইয়াবা পাচারের কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রলার এবং ১৬ জন মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইয়াবাসহ মহিপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।’