একটি সূত্রের উল্লেখ করে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে বকেয়া অর্থের বিপরীতে একটি ঋণপত্র দিতে চেয়েছিল, তবে এ পদক্ষেপ বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির শর্তের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। অন্যতম কারণ হিসেবে ডলারের সংকটের কথা বলা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
রয়টার্স জানতে পেরেছে যে গত মাসে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা আদানি পাওয়ারের সঙ্গে করা চুক্তিটি খতিয়ে দেখেছে। ভারতের অন্যান্য বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তুলনায় আদানি উৎপাদিত বিদ্যুতের জন্য বাংলাদেশকে ২৭ শতাংশ অতিরিক্তি দাম দিতে হচ্ছে।
গত সপ্তাহে আয়সংক্রান্ত একটি বৈঠকে আদানি পাওয়ারের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা দিলীপ কুমার ঝা বলেছেন, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার ক্ষেত্রে কোনো ইস্যু নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, বকেয়া নিয়ে পরিস্থিতির আর কোনো অবনতি হবে না।’
ঝাড়খন্ডের কেন্দ্র থেকে যে বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করা হয়, তার প্রতি ইউনিটের দাম ১০–১২ টাকা (৭–৮ দশমিক ৫০ রুপি)। বিদ্যুতের মূল্য মূলত নির্ভর করে ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় কয়লার দামের ওপর।