গত মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মোহাম্মদ রেজা ফারজিন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বাজারে বিদেশি মুদ্রার সরবরাহ বাড়বে এবং রিয়ালের বিনিময় হারও স্থিতিশীল হবে। তিনি জানান, ২২ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা ইতিমধ্যে আর্থিক বাজারে ছাড়া হয়েছে।
দেশটির মুদ্রা এমন দিনে ইতিহাসের সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে গেছে যেদিন জ্বালানিসংকটের কারণে ইরানের কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দেশের স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি দপ্তর বন্ধ রাখা হয়। প্রবল ঠান্ডার কারণে দেশটিতে জ্বালানিসংকট আরও তীব্র হয়েছে। গত গ্রীষ্মে ইরানে বিদ্যুৎসংকট ছিল। এবার একযোগে দেখা দিয়েছে তীব্র ঠান্ডা, তুষারপাত ও বায়ুদূষণ।
ইরানে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মজুত রয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন মৌসুমে যখন জ্বালানির চাহিদা বাড়ে, তখন দেশটি সেই চাহিদা মেটাতে পারে না। বছরের পর বছর ধরে ইরানের জ্বালানি খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ নেই, এর পাশাপাশি তারা পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকটে ভুগছে দেশটি।