অবশেষে ১৭ বছর পর সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন ২৭তম বিসিএসের ১ হাজার ১৩৭ জন। আজ বৃহস্পতিবার ২৭তম বিসিএসে নিয়োগ বঞ্চিত ১ হাজার ১৩৭ জনকে নিয়োগ দিতে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। পৃথক তিনটি আপিল মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ রায় দেন।
এ রায়ের ফলে ১৮ বছর পর চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ পেলেন ২৭তম বিসিএসে উত্তীর্ণ ১ হাজার ১৩৭ জন। এর আগে, গতকাল তিনটি আপিলের শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়েছিল।
আবেদনকারীদের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপিল বিভাগের আগের রায় বাতিল করা হয়েছে। এখন তাঁরা ধারণাগত জ্যেষ্ঠতাসহ নিয়োগ পাবেন। তাদের ৯০ দিনের মধ্যে নিয়োগ দিতে হবে।’
২৭তম বিসিএসে প্রথমবারের মৌখিক পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখে ২০১০ সালে রায় দেন আপিল বিভাগ। পরে ওই রায় রিভিউ চেয়ে ১ হাজার ১৩৭ জনের পক্ষে ১৪০ জন গত বছর পৃথক তিনটি আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে আদেশ দেন। এরপর আপিল করা হয়।
এক-এগারোর সরকারের সময় ২৭তম বিসিএসে প্রথমবার নেওয়া মৌখিক পরীক্ষা বাতিল করে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে দ্বিতীয়বার মৌখিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন নিয়োগ বঞ্চিতরা।
এরপর, ২০০৮ সালে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধ ঘোষণা করেন। তবে হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ ২০০৯ সালে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণা করেন।
এদিকে, প্রথম রায়ের বিরুদ্ধে নিয়োগবঞ্চিত ২৫ জন আপিল বিভাগে দুটি লিভ টু আপিল করেন। অপরদিকে দ্বিতীয় রায়ের বিরুদ্ধে সরকার তিনটি লিভ টু আপিল করে। কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে আপিল বিভাগ সরকারের লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে ২০১০ সালে রায় দেন। আপিল বিভাগের রায়ে ২৭তম বিসিএসে প্রথমবারের মৌখিক পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখা হয়। পরবর্তীতে আপিল বিভাগের রায় রিভিউ চেয়ে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লিভ টু আপিল মঞ্জুর করা হয়।
আপিলকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন ও মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। এ ছাড়া, পিএসসির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া।