দেশের কালচারাল ইন্ডাস্ট্রির নানা নীতি নির্ধারণের বিষয়গুলো বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, এগুলো এক ছাতার নিচে আনা উচিত বলে মনে করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এছাড়াও কালচারাল ইন্ড্রাস্টির লোকদের তাদের সমস্যা সমাধানে দাবি আদায়ে সরকারকে ঘেরাও করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বাংলাদেশ ফিল্ম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র সম্মেলন’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, আমরা সবাই জানি আমাদের সমস্যা কী এবং সমাধান কী? সবাই জানি আমাদের সমাধানটা কোথায়। সেই সমাধানটা লিখে– আপনারা মনে করবেন না আপনারা ক্ষমতায় আছেন এবং আমরা ক্ষমতায় আছি ভুলে যান, আপনারা রাস্তায় নামুন, আপনারা আমাদের ঘেরাও করেন, আমাদের বাধ্য করেন, আমরা যেন দ্রুত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করি।
ক্ষমতা থাকলে সাত দিনের মধ্যে কালচারাল ইন্ডাস্ট্রির কার্যকর নীতি তৈরি করতেন জানিয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, হলে ইটিকেটিং, বক্স অফিস, শেয়ার মানি, হল আধুনিক করার জন্য হলকে টাকা দেওয়া, কত লাভে দিবো বা না দিবো– এগুলো ৭ কর্মদিবসের বিষয়। যারা এসব বিষয়ে অভিজ্ঞ তাদের নিয়ে সাতদিনের একটি কর্মশালা করতাম যদি আমার সেই ক্ষমতা থাকতো। তাদের নিয়ে ভালুকা রিসোর্টে গিয়ে সব ফর্মূলেট করতাম, সেখানে সরকারি আমলারাও থাকবে এবং ৭ দিনের মধ্যে পলিসি নিয়ে বের হতাম। আমরা জানি আমাদের কী প্রয়োজন। সবাই একই প্রস্তাবনা দিয়েছে।
দেশের পুরো সাংস্কৃতিক শিল্প একটি ছাতার নিচে থাকা উচিত ছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, এক ছাতার নিচে না থাকার কারণে আমাদের সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। দেশের সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ঠেকানোর দ্বায়িত্ব আমার। এটি না ঠেকালে প্রথমত আমরা ভিন্ন সাংস্কৃতিক আধিপত্যর মধ্যে ঢুকে যাই। দ্বিতীয়ত আমার ইন্ডাস্ট্রির মানুষের কাজ কমে যায়। এখন এটা ঠেকানোর জন্য যে পলিসিগুলো বানাতে হবে, সেগুলো আছে আবার তথ্য মন্ত্রণালয়ে। সাংস্কৃতির বিষয়গুলো এইভাবে একেকটা একেক জায়গা আছে।
সাংস্কৃতিক ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এক করার প্রস্তাব রেখে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, জুলাই নিয়ে আমাদের অনেকগুলো কাজ করতে হচ্ছে। তারমধ্যে আমরা পলিসি লেভেলে কিছু প্রস্তাব করে যাবো। আশা করি অন্য উপদেষ্টারা তা সহমত প্রকাশ করবেন। প্রথমত, সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এক সঙ্গে থাকা উচিত। কারণ সাংস্কৃতিক ও পর্যটনের ব্যবসা, লক্ষ্য একই। আপনি সাংস্কৃতির জন্য কিছু বানাবেন তা পর্যটনকে হেল্প করে।