রাজধানীতে ছিঁচকে চোরের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা থেকে মব (উচ্ছৃঙ্খল জনতা) ঘটনা শুরু হয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এসব অপরাধ দমনে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ সোমবার (৩ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই কথা বলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বলেন, ‘রাজধানীতে ছিঁচকে চোর বেড়ে গেছে। সেখান থেকেই মব শুরু হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সেদিকে বেশি মনোযোগ দেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।’
অপারেশন ডেভিল হান্ট সম্পর্কে সচিব বলেন, অপারেশন ডেভিল হান্ট নামে যৌথ বাহিনীর যে অভিযান চলছে সেটা আরও বেগবান করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেখানে প্রয়োজন নাই, সেখানে না গিয়ে যেসব এলাকায় বেশি অপরাধ হচ্ছে সেখানে বেশি টহল বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ডেভিল হান্ট শব্দটা থাকছে না—এই বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, ডেভিল হান্ট শব্দটি থাকবে না বলে কয়েকটি গণমাধ্যম যে সংবাদ প্রচার করেছে তা সঠিক নয়। ডেভিল হান্ট শব্দ থাকবে না এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আইন-শৃঙ্খলা অবনতির বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, জুলাইয়ের আগে মোহাম্মদপুরে ১০ জন মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জুলাইয়ের পর নভেম্বরে দুজন আর জানুয়ারিতে একজন নিহত হয়েছেন। তবে ফেব্রুয়ারিতে কোনো মৃত্যুর ঘটনা নেই।
আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে সচিব বলেন, ‘মবতো অর্গানাইজড কিছু ঘটে না। হঠাৎ করে ঘটে যায়। এগুলো আগে থেকে অনুমান করা সম্ভব নয়। লালমাটিয়ার ঘটনায় (দুই নারীর ওপর হামলা) কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটা এই মুহূর্তে বলতে পারবে না। ছুটির দিনেও বসে নেই। ১২-১৪ ঘণ্টা কাজ করছে বাহিনীর লোকগুলো। আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই।’
পুলিশ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, আগস্টের পর এই সরকার একটি বিধ্বস্ত পুলিশ বাহিনী পেয়েছে। তাদেরকে দিয়ে এখন চলতে হচ্ছে। ঢাকা শহরকে গুরুত্ব দিয়ে অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালিত হচ্ছে। যেখানে প্রয়োজন নাই সেখানে না গিয়ে গুরুত্ব অনুযায়ী অপারেশন চলবে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করার বিষয়ে সচিব বলেন, সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে। এ জন্য দিনরাত চেষ্টা করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। রোজা এবং ঈদকে সামনে রেখে দেশের আইনশৃঙ্খলা যাতে ভালো থাকে সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।