ফুসফুস আমাদের দেহের অক্সিজেন গ্রহণ ও কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগের প্রধান অঙ্গ। যদি ফুসফুসে সমস্যা হয়, তবে শরীর পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না, ফলে নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। ফুসফুসের সমস্যাগুলো অনেক সময় প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়ে না। তবে কিছু গুরুতর লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
১. দীর্ঘদিনের কাশি ও কফ
দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অবিরাম কাশি হলে তা ফুসফুসের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। কফের সঙ্গে রক্ত বা হলুদ-সবুজ রঙের কফ বের হলে তা সংক্রমণ বা ফুসফুসের গুরুতর রোগ নির্দেশ করতে পারে। এটি সিওপিডি (COPD), নিউমোনিয়া, টিউবারকুলোসিস (যক্ষ্মা) বা ফুসফুসের ক্যানসারের লক্ষণও হতে পারে।
২. শ্বাসকষ্ট ও বুকে চাপ অনুভব করা
হাঁটাহাঁটি বা সামান্য পরিশ্রমেও যদি শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তাহলে এটি ফুসফুসের কার্যকারিতার অবনতির ইঙ্গিত হতে পারে। বুকে চাপ বা ব্যথা অনুভব করা, যা শ্বাস নেওয়ার সময় বাড়তে পারে, এটি ফুসফুসে সংক্রমণ, ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া বা ফুসফুসের টিউমারের লক্ষণ হতে পারে। ঘুমানোর সময় শ্বাসকষ্ট বেশি হলে তা ফুসফুসের কার্যক্ষমতা হ্রাসের ইঙ্গিত দেয়।
৩. সহজেই ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভব করা
ফুসফুস যদি যথেষ্ট অক্সিজেন গ্রহণ করতে না পারে, তাহলে শরীরের শক্তি কমে যায় এবং অল্প কাজেও ক্লান্তি আসে। সবসময় দুর্বল লাগা, মাথা ঘোরা বা ঘুম ঘুম ভাব থাকা, অক্সিজেন ঘাটতির কারণে হতে পারে। এটি সিওপিডি, ফুসফুসের সংক্রমণ বা ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
ফুসফুস ভালো রাখতে করণীয়:
✅ ধূমপান ও ধোঁয়াযুক্ত পরিবেশ এড়িয়ে চলুন।
✅ প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন, এটি কফ দূর করতে সাহায্য করে।
✅ নিয়মিত ব্যায়াম করুন, বিশেষ করে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম।
✅ পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন।
✅ দূষণযুক্ত এলাকায় মাস্ক ব্যবহার করুন।
উপরোক্ত লক্ষণগুলোর মধ্যে কোনো একটি থাকলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।