উপমহাদেশের বরেণ্য এক অভিনয়শিল্পী ও নাট্যকার উৎপল দত্ত। বাংলা নাটক কিংবা থিয়েটারের বিকাশে রয়েছে তার অগ্রণী ভূমিকা। তার কাছে নাটক ছিল প্রতিবাদের ভাষা। সমাজ বদলের হাতিয়ার। দ্রোহের শিল্পিত উপস্থাপন। সে কারণেই তার নাটকে বারংবার উঠে এসেছে সমাজ বাস্তবতা। উঠে এসেছে সমাজ বা রাষ্ট্রে বিরাজমান অনাচারসহ দুঃশাসনের কথা।
সব মিলিয়ে বলা যায়, রাজনৈতিক দর্শনকে ধারণ করেই রচিত হয়েছে উৎপল দত্তের নাটক। কিংবদন্তি এই নাট্যকারের নাটক মঞ্চস্থ হলো ঢাকার নাট্যমঞ্চে। নাট্যদল এথিক প্রযোজিত নাটকটির শিরোনাম ছিল ‘হাঁড়ি ফাটিবে’। নতুন আঙ্গিকে নির্মিত নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন মিন্টু সরদার। সোমবার সন্ধ্যায় মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে প্রযোজনাটির ৮৯তম প্রদর্শনী হয়।
প্রযোজনাটি প্রসঙ্গে নির্দেশক মিন্টু সরদার বলেন, উৎপল দত্তের নাটকের বিষয়বস্তু সর্বদাই সময়কে ধারণ করে। তাই তার মৃত্যুর তিন দশকে পরেও এই নাটকের গুরুত্ব বিন্দু মাত্র কমেনি। আজকের এই সভ্য সমাজে দাঁড়িয়ে নাটকটি যেন বর্তমান সমাজেরই প্রতিচ্ছবি হয়ে ওঠে।
সমাজের প্রভাবশালীদের অপ্রকাশিত অপরাধ উন্মোচন করার এক অভিনব অভিযান উপস্থাপিত হয়েছে ‘হাঁড়ি ফাটিবে’ নাটকের গল্পে। চিরকালই সমাজপতিরা জঘন্য সব অপরাধ করে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার কাজ চালিয়ে আসছে। ববর্র মুখোশধারী সেই সমাজপতিদের হাঁড়ির গোপন তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার ঘটনাপ্রবাহ যুক্ত হয়েছে এ নাটকে।
প্রযোজনাটির নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন হাসান রিজভী, ভাবনা হাসান, সুকর্ন হাসান, মনিরুল হক ঝলক, রওনক বিশাকা শ্যামলী, আজিম উদ্দিন, নাহিদুল মুন্না, এসপি খান শাওন, রুবেল খান, আবীর বাবু ও মিন্টু সরদার। এ ছাড়া অভিনয়ের পাশাপাশি সহযোগী নির্দেশকের দায়িত্ব পালন করেছেন মনি কানচন। নাটকের আলোক পরিকল্পনা করেছেন ঠান্ডু রাযহান। মঞ্চ ও পোশাক পরিকল্পনা করেছেন আনিস আনন্দ।
বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানকে নিবেদিত সেমিনার ॥ সোমবার বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান : জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনাসভার আয়োজন করে। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হামিদুর রহমানের ভাগিনা টিপু সুলতান। আলোচনা অংশ নেন হামিদুর রহমানের ভাতিজা মাহফুজুর রহমান মিরন।
সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নাফরিজা শ্যামা। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রদান করেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ও জাদুঘরের সচিব মো. সাইফুল ইসলাম।