বিগত সরকার সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যাকাণ্ড নিয়ে খুব নিশ্চুপ ছিল। আমরা প্রতিটি সীমান্ত হত্যার ঘটনায় আমাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা আমাদের সুস্পষ্ট অবস্থান জানিয়ে দিয়েছি।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান আজকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কথাবার্তা হয়েছে। এখানে সংস্কার, নির্বাচন সংস্কার, জাতীয় ঐক্য, ব্যাংকিং সেক্টর রিফর্ম নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট জমা দেওয়া প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, আপনারা জানেন যে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সংস্কার কমিশনগুলোর রিপোর্ট হওয়ার কথা ছিল কিন্তু উনারা আমাদের জানিয়েছেন যে সময়সীমার মধ্যে কাজগুলো শেষ করতে পারেননি। অনেকে বর্ধিত সময় নিয়েছিলেন। উনাদের এমনও হয়েছে সপ্তাহে সাতদিন কাজ করতে হয়েছে ১০-১২ ঘণ্টা করে। সরকার আশা করছে, কমিশনের রিপোর্ট ছয়টার মধ্যে পাঁচটি কমিশন আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবেন।
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব। এটির আরও অগ্রগতি হলে জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, আগের সরকার খুব নিশ্চুপ ছিল। আমরা প্রতিটি সীমান্ত হত্যার ঘটনায় আমাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এটা নিয়ে আমাদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কথা বলেছেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কথা বলেছেন। আমরা আমাদের সুস্পষ্ট অবস্থান জানিয়ে দিয়েছি।
তারপরও সীমান্ত হত্যা বন্ধ হচ্ছে না কেন- এমন প্রশ্নের তিনি জবাব দেননি। তিনি বলেন, আমাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, এজেন্সি এটা নিয়ে কাজ করছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো করার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করছে। সেই অনুযায়ী দেখছেন আমরা বারবার ক্রাইমের ফিগার প্রকাশ করছি। ক্রাইম ফিগার কিন্তু বলছে, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের তুলনায় বেশ ভালো।
টেকনাফের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগেও যে ওই এলাকায় পরিস্থিতি ভালো ছিল বিষয়টা এমন নয়। অঞ্চলটি ড্রাগ ব্যবসার একটি জায়গা। তবে আমরা চেষ্টা করছি সে জায়গায় পরিস্থিতি উন্নতি করার জন্য।