সাংবাদিকতার কাজ তথ্য নিয়ে। তথ্যের অবিকৃত উপস্থাপনই সাংবাদিকতা। এছাড়া সামাজিক অঙ্গীকারের পাশাপাশি সাংবাদিকতা আবার ব্যবসাও বটে। তবে সাংবাদিকদের তুলে আনা গল্পগুলোই কখনো কখনো সাংবাদিকতার গণ্ডি পেরিয়ে শিল্পমান অর্জন করে। আমাদের ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের যাবতীয় তথ্য, প্রতিবেদন, ছবি ও ভিডিও সাহিত্যিকদের রসদ জুগিয়েছে। তাই বলে কি সাংবাদিকতা সাহিত্য? মোটেও নয়। আজ (২৭ ফেব্রুয়ারি) কিশোরগঞ্জে ঈশাখাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজি বিভাগের আয়োজনে ‘সাহিত্য ও সাংবাদিকতার যোগসূত্র আছে কি’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
ঈশা খাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক বদরুল হুদা সোহেলের সভাপতিত্বে প্রতিপাদ্য বিষয়ের ওপর আলোচনা অংশ নেন কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আজিজ আহমেদ হুমায়ুন, দি নিউ ন্যাশনের নির্বাহী সম্পাদক ফররুখ খসরু ও দি এশিয়ান এইজের নির্বাহী সম্পাদক মাহফুজ উল হাসিব চৌধুরী। এ সময় নিউ ন্যাশনের সিনিয়র সাংবাদিক আলম সারোয়ার টিটু, জনকণ্ঠের সাংবাদিক ও লেখক মাজহার মান্না, ঈশাখাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকমণ্ডলীসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে প্রশ্নোত্তরে মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, ‘সাংবাদিকতা হলো গণযোগাযোগ, যা তথ্য সরবরাহের মধ্য দিয়ে ঘটে থাকে। সাহিত্য হচ্ছে শিল্প, যা কল্পনাপ্রসূত; কিন্তু শেষ হয় গণযোগাযোগের মধ্য দিয়ে। কবি-সাহিত্যিকরা মূলত কল্পলোকবিহারী, আর সাংবাদিকদের বিচরণ বাস্তব ভূমিতে। একটা উপন্যাস পড়ে পাঠক কাঁদেন, উদ্বেলিত হন। কিন্তু সাংবাদিকের প্রতিবেদন দেখে, পড়ে হয়তো আরও বেশি উজ্জীবিত হন কিংবা চোখের জল ফেলেন’।