গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ক্ষমতার পালাবদল হলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কে অস্বস্তি শুরু হয়। দুই দেশের স্বার্থ আছে এবং উভয়পক্ষ সেটি বিবেচনা করে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মনে করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা যেটি বলেছেন, সেটি আমাদের অবস্থান। আমি নিজেও বিভিন্ন সময়ে বলেছি যে আমরা একটি ভালো ওয়ার্কিং সম্পর্ক চাই এবং এর ভিত্তি হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা। এই অবস্থানটাই প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন। বাকিটুকু দেখা যাক। দুই পক্ষের স্বার্থ আছে, কে কীভাবে স্বার্থকে দেখে সেটি বিবেচনা করে সম্পর্ক এগোবে।’
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণের বিষয়ে কোনও খবর আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের খবর তো ভারতের পক্ষ থেকে দিতে হবে। ভিসা জটিলতা আমরা তৈরি করিনি। ভিসা একটি সার্বভৌম অধিকার। কোনও দেশ যদি কাউকে বা কোনও গোষ্ঠীকে ভিসা না দেয়– তবে এ নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলা যাবে না। এটি তাদের সিদ্ধান্ত। আমরা আশা করবো তাদের সিদ্ধান্ত আমাদের জানাবেন বা কার্যকলাপ বাড়াবেন, যাতে গমনপ্রত্যাশীরা ভিসা পেতে পারে।’
তিস্তা প্রকল্প
সম্প্রতি তিস্তা প্রকল্প নিয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়েছে। চীনকে তিস্তা প্রকল্প দেওয়া হচ্ছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
চীনের সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নদীর পানি সহযোগিতা নিয়ে একটি আমব্রেলা সমঝোতা স্মারক আছে। এই সমঝোতা স্মারকটি আগে থেকেই আছে এবং এটি নবায়নের সময় দুই পক্ষের অতিরিক্ত কিছু সংযোজনের বিষয় ছিল। এ কারণে কিছুটা দেরি হয়েছে। আমি যখন চীনে গিয়েছিলাম, তখন এটি সই হওয়ার কথা ছিল। যেহেতু দুই পক্ষেরই কিছু অতিরিক্ত বক্তব্য আছে এবং সেটি পরস্পরের কাছে আদান-প্রদানের মাধ্যমে ঠিকঠাক করে সই হবে, তাই সেটি সমঝোতা স্মারক হিসাবে সই হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই আমব্রেলা সমঝোতা স্মারকের অধীনে কোনও প্রকল্প অবশ্যই নেওয়া যেতে পারে। এটি নিয়ে চূড়ান্ত কিছু হয়নি।’