মেডিক্যাল চেকআপ ও চিকিৎসা করানো লক্ষ্যে বাংলাদেশি রোগী, চিকিৎসক এবং ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর প্রথম দলটি ঢাকা থেকে চীনের ইউনান প্রদেশের কুনমিংয়ের উদ্দেশে রওনা হয়ে গেছে।
সোমবার (১০ মার্চ) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তারা রওনা হন। পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন, চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, চীন ও বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের অতিথি, চিকিৎসক ও বিমান সংস্থার প্রতিনিধিরা দলটিকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার সন্ধ্যায় চীনা দূতাবাস থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়— এই দলে ৩১ জন সদস্য রয়েছেন। তাদের মধ্যে রোগী, তাদের পরিবারের সদস্য, চিকিৎসক, ট্রাভেল এজেন্ট এবং সাংবাদিক রয়েছেন। তারা যথাক্রমে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করবেন এবং ইউনান প্রদেশের সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলো পর্যালোচনা করবেন। এছাড়া তারা চীনের পররাষ্ট্র দফতর এবং ইউনানের সংস্কৃতি ও পর্যটন বিভাগ আয়োজিত বিনিময় কার্যক্রমেও অংশগ্রহণ করবেন।
পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন প্রতিনিধি দলের সফল সফর কামনা করেন। তিনি উল্লেখ করেন, এই উদ্যোগ বাংলাদেশি জনগণকে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব গভীরভাবে অনুভব করতে সাহায্য করবে। তিনি জনস্বাস্থ্যসেবা এবং মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে চীন সরকারের দীর্ঘস্থায়ী সমর্থন ও সহায়তার জন্যও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। উভয় দেশের জনগণের জন্য বৃহত্তর সুবিধা বয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাস্তবসম্মত সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যাশা করেন পররাষ্ট্র সচিব।
ঢাকায় কর্মরত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশ ও চীন সার্বিক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদার— যারা প্রয়োজনের সময় একে অপরের পাশে দাঁড়ায়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, চীনের এই সফর কেবল দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে সম্পাদিত ঐকমত্য বাস্তবায়ন করে না, বরং বাংলাদেশের জরুরি চাহিদা পূরণ, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে আদান-প্রদান বৃদ্ধির প্রতি চীনের অঙ্গীকারকেও প্রতিফলিত করে। তিনি প্রতিনিধিদলের ইউনান ভ্রমণ, রোগীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী এবং জনগণের সঙ্গে আদান-প্রদানের বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও গভীর করার এবং যৌথভাবে সবার জন্য স্বাস্থ্যের একটি বিশ্ব সম্প্রদায় গড়ে তোলার সুযোগ হিসেবে কাজ করবে।