স্পেনের জাতীয় ফুটবল দলে এবার এক নতুন অভিজ্ঞতা—রমজানের আমেজ! ১৭ বছর বয়সী বার্সেলোনা তারকা লামিন ইয়ামাল লা রোজাসের অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দিয়ে রোজা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা দলটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঘটছে। নেশন্স লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ সামনে রেখে স্প্যানিশ শিবির এবার শুধু কৌশলেই নয়, সংস্কৃতিতেও বৈচিত্র্যের ছোঁয়া পাচ্ছে!
এত অল্প বয়সে ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি ইয়ামালের নিষ্ঠা তার পরিপক্বতা এবং দায়িত্বশীলতারই পরিচয় দেয়। ক্লাব ফুটবলে যেমন তিনি রমজানের নিয়ম মেনে চলেন, জাতীয় দলে এসেও তেমনি তা বজায় রাখছেন। যদিও কঠোরভাবে রোজা পালনকারীরা পুরো সময়টায় খাদ্য ও পানি গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন, তবে ইয়ামাল ম্যাচ চলাকালীন বা অনুশীলনের চাপ সামলাতে প্রয়োজনীয় ছাড় পাবেন—যা তার পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারের বাস্তবতা বিবেচনায় যৌক্তিক সিদ্ধান্ত।
স্পেনে প্রায় ২৫ লাখ মুসলিম বসবাস করে, যারা রমজান মাসকে সংযম, ধ্যান ও আত্মনিয়ন্ত্রণের সময় হিসেবে পালন করে। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উপবাস, খাদ্য-পানীয়, ধূমপান এবং ব্যক্তিগত সম্পর্ক থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে তারা এই মাসের তাৎপর্যকে লালন করে। ইতোমধ্যেই ইসলামী কমিশন স্পেনের মুসলিমদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছে এবং নিয়োগকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যাতে শারীরিক পরিশ্রমের সঙ্গে সম্পর্কিত কর্মীদের জন্য সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়।
লামিন ইয়ামালের রোজা পালন শুধু ব্যক্তিগত ধর্মবিশ্বাসের চর্চা নয়, বরং এটি স্প্যানিশ ফুটবলে বহুমুখী সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রতিফলনও। তার এই উদ্যোগ ভবিষ্যতে আরও অনেক মুসলিম খেলোয়াড়ের জন্য পথপ্রদর্শক হয়ে উঠতে পারে। বয়সে তরুণ হলেও মানসিকতার দিক থেকে তিনি যে পরিণত, তা আরও একবার প্রমাণ করলেন!