ফুটবল কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যু নিয়ে চলমান মামলায় এক চিকিৎসক আদালতে স্বীকার করেছেন, ২০২০ সালের অস্ত্রোপচারের পর ম্যারাডোনাকে বাসায় না পাঠিয়ে একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা উচিত ছিল।
ম্যারাডোনা, যিনি ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জয়ে নেতৃত্ব দেন, ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর বুয়েনোস আইরেসের উপকণ্ঠে বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ৬০ বছর।
‘উনি একটি পুনর্বাসন ক্লিনিকে থাকার উপযুক্ত ছিলেন… আরও নিরাপদ কোনো জায়গায়,’ আদালতে বলেন ম্যারাডোনার দীর্ঘদিনের চিকিৎসক মারিও আলেহান্দ্রো স্কিটার। তিনি জানান, ম্যারাডোনার মাদকাসক্তি মোকাবেলায় তিনি বহু বছর ধরে কাজ করেছেন।
‘আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি, উনি কতটা কঠিন রোগী ছিলেন। তাই বাসায় চিকিৎসা করানোর সিদ্ধান্ত আমি কখনো দিতাম না,’ বলেন স্কিটার।
এই মামলায় সাতজন চিকিৎসা পেশাজীবীর বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে—তাদের মধ্যে একজন নিউরোসার্জন, মনোরোগ চিকিৎসক, মনোবিজ্ঞানী, চিকিৎসক ও নার্স রয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, তারা সময়মতো ও যথাযথ চিকিৎসা না দেওয়ায় ম্যারাডোনার মৃত্যু ঘটে।
স্কিটার আরও বলেন, ‘আমি কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করেছি, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আমার ছিল না। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়ে জানায় যে বাসায় চিকিৎসা দেওয়া হবে।’
সাক্ষীদের মতে, ম্যারাডোনাকে যে বাসায় নেওয়া হয়েছিল, সেখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামই ছিল না। স্কিটার, যিনি ম্যারাডোনার ময়নাতদন্তও পর্যবেক্ষণ করেন, বলেন, ‘সব প্রমাণই ইঙ্গিত করে যে তার যত্নে ঘাটতি ছিল, যেটা এড়ানো যেত—এবং সেখান থেকেই হৃদপিণ্ডের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর দিকে গড়ায়।’